সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এফএটিএফের কালো তালিকাভুক্ত মায়ানমার। শুক্রবার প্যারিসে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির আর্থিক লেনদেনের উপর নজরদারি চালানো সংস্থাটি। সেখানেই পাকিস্তানকে ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করে তারা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এই দ্বিচারিতা কেন?
গতকাল কালো তালিকায় মায়ানমারের অন্তর্ভুক্তির কথা ঘোষণা করেন ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফের প্রেসিডেন্ট টি রাজা কুমার। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে নাইপিদাওয়ের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর আরজিও জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে, গৃহযুদ্ধে জর্জর মায়ানমারের ত্রাণ ও মানবিক কাজকর্ম চালাতে আর্থিক অনুদান চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে এফএটিএফ (FATF)।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদত বন্ধ করার বিষয়ে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছিল মায়ানমারকে। ২০২০ সালে দেশটির সরকার প্রতিশ্রুতি দেয়, সমস্ত শর্ত পূরণে তারা একটি অ্যাকশন প্লান তৈরি করবে। কিন্তু সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে সেই মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও আদতে কোনও কাজ হয়নি। চলতি বছরের জুন মাসে এই বিষয়ে নাইপিদাওকে সতর্ক করা হয়। বলা হয়, অক্টোবরের মধ্যে শর্ত পূরণ করতে। কিন্তু তা না হওয়ায় মায়ানমারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, এফএটিএফের এহেন সিদ্ধান্তে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। কোন যুক্তিতে সন্ত্রাসবাদীদের চারণভূমি পাকিস্তানকে ধুসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে? একই দোষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথক ব্যবস্থা কেন? এহেন দ্বিচারিতাই বা কেন? তাহলে কি, নেপথ্যে কেউ কলকাঠি নাড়ছে?
বিশ্লেষকদের মতে, চার বছর পরে পাকিস্তানের ‘শাপমুক্তি’র নেপথ্যে রয়েছে আমেরিকা। ইমরান খান সরকারের পতন চাইছিল ওয়াশিংটন। ইমরানের আমলে চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের দহরম মহরম মেনে নিতে পারছিল না আমেরিকা। আফগানিসস্তানে তালিবানের ফিরে আসা এবং মধ্য এশিয়ায় চিনা প্রভাব বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই শাহবাজ শরিফের সরকার ও পাক সেনাকে উপহার বাইডেন (Biden) প্রশাসনের। আর চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ময়জবুত করায় মার্কিন রোষের মুখে পড়েছে মায়ানমার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.