সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘানা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের গান্ধী মূর্তিটি শেষপর্যন্ত ভেঙেই ফেলল প্রশাসন৷ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে মূর্তি সরিয়ে ফেলার দাবি ওঠেছিল, চলছিল সই সংগ্রহ অভিযানও৷ মূর্তি সরানোর পক্ষে অধ্যাপক ও পড়ুয়া মিলিয়ে সই করেছিলেন কমপক্ষে দু’হাজার মানুষ৷ তাহলে মূর্তিটি ভেঙে ফেলা হল কেন? তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ২০১৬ সালে ঘানা বিশ্ববিদ্যালয়ে গান্ধীজির মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ বেশীরভাগের একটাই দাবি, গান্ধীজির মূর্তি নাকি বর্ণবাদের পরিচায়ক৷ তাই কলেজে ওই মূর্তিটি রাখা যাবে না৷ এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় শোরগোল৷ সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে বইতে থাকে #GandhiMustFall ঝড়৷ নেটিজেনরাও এই গান্ধী মূর্তি রাখার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে শুরু করেন৷ ঘানায় শুরু হয় স্বাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচিও৷ অধ্যাপক আকুসুয়া অ্যাডোমাকো অ্যামপোফো এই কর্মসূচির বীজ রোপণ করেন৷ তাঁর বক্তব্য, ঘানা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামীরই মূর্তি নেই৷ তাই গান্ধীজির মূর্তি রাখারও কোনও যৌক্তিকতা নেই ৷ এই যুক্তি দেখেই ঘানা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, অধ্যাপকদের থেকে সই সংগ্রহ করেন তিনি৷ অধ্যাপক এবং পড়ুয়া মিলিয়ে অন্তত ২০০০জন এই কর্মসূচিতে অংশ নেন৷ গান্ধীজির মূর্তি স্থানান্তরের দাবিকে সমর্থন জানান প্রত্যেকেই৷
একটানা চলতে থাকা আন্দোলনের কাছে মাথা নত করে ঘানা প্রশাসন৷ আশ্বাস দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে গান্ধীজির মূর্তি৷ কিন্তু, শেষপর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে স্থানান্তর নয়, মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিটি ভেঙে ফেলল ঘানার প্রশাসন৷ যদিও এই ঘটনাকে একেবারেই ভাল চোখে দেখছেন না ঘানার প্রবাসী ভারতীয়রা৷ জাতির জনককে অপমান করা হয়েছে বলেই দাবি তাঁদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.