সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে আগেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে ফ্রান্স৷ এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল জার্মানিও। মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করতে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দ্বারস্থ হল তারা। সূত্রের খবর, এই জঙ্গি নেতাকে নিষিদ্ধ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য ২৭ সদস্য দেশের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে জার্মানি। এদের সমর্থন পেলেই ইইউ-এর ২৮টি সদস্য দেশে পুরোপুরি নিষিদ্ধ হবে মাসুদের আনাগোনা৷ ওই দেশগুলিতে পা রাখতে পারবে না জইশ প্রধান। এবং ওই সমস্ত দেশে মাসুদের যা সম্পত্তি আছে, তাও বাজেয়াপ্ত হবে।
[অবশেষে লন্ডনে গ্রেপ্তার পিএনবি ব্যাংক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত নীরব মোদি ]
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ভারতে অবস্থিত জার্মান দূতাবাসের মুখপাত্র হান্স ক্রিশ্চিয়ান উইঙ্কলার জানান, ‘‘মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নেও কথাবার্তা হচ্ছে। সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন পেলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।’’ সম্প্রতি তাদের দেশে মাসুদকে নিষিদ্ধ করেছে ফ্রান্স। সেদেশে এই জঙ্গি নেতার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত না ফ্রিজ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সদস্য রাষ্ট্র৷ প্যারিস ঘোষণা করেছে, সন্ত্রাস দমনে ফ্রান্স সবসময়ই ভারতের পাশে ছিল এবং থাকবে। ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক, অর্থমন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রকের যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত জঙ্গিদের সঙ্গে মাসুদকেও একই তালিকায় রাখা হবে।
[ভোটপ্রচারে বেরিয়ে বিপাকে, লোকাল ট্রেনে আটকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট]
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদে মাসুদকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ তকমা দেওয়ার প্রস্তাব এনেছিল। আমেরিকা, ব্রিটেন এবং রাশিয়া তাতে সম্মতিও জানিয়েছিল। কিন্তু ফের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় চিন। আর বেজিংয়ের এই পদক্ষেপে যথারীতি হতাশ দিল্লি। এর আগেও তিনবার চিনের বাধায় মাসুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। বেজিং জানায়, মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেওয়ার জন্য যে প্রমাণ দেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। আরও প্রমাণ প্রয়োজন।
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রীতিমতো খড়্গহস্ত বিভিন্ন দেশ। চাপের মুখে ইসলামাবাদ জইশ-সহ জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলেও মাসুদ আজহারকে কার্যত আড়াল করেই রাখে। তবে পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার প্রসঙ্গ টেনেই মাসুদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে ফ্রান্স৷ বলা হয়, ‘পুলওয়ামায় জঙ্গিহানায় অন্তত ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে জইশ-ই-মহম্মদ। যাদের ২০০১ সাল থেকেই জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘ।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.