সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদানি প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একরাশ বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। এবার নিজের সংস্থার সিদ্ধান্তের জেরেই মুখ পুড়ল সেই জর্জ সোরসের (George Soros)। জানা গিয়েছে, এক ধাক্কায় ৪০ শতাংশ কর্মীকে ছেঁটে ফেলছে তাঁর সংস্থা। মাত্র একমাস আগেই সংস্থার সমস্ত দায়িত্ব নিজের ছেলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন মার্কিন ধনকুবের। তারপরেই এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রসঙ্গত আদানি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন নীরব, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সোরস।
১৯৭৯ সালে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মার্কিন ধনকুবের। মূলত সমতা ও পরিবেশ রক্ষা খাতে কাজ করে এই সংস্থা। মাসখানেক আগেই সংস্থার দায়িত্ব নেন মার্কিন ধনকুবেরের পুত্র আলেকজান্ডার সোরস। তারপরেই ঘোষণা করা হয়, সংস্থার কাজে গতি আনতে একাধিক বড়সড় রদবদল করা হবে। এই ঘোষণার কয়েকদিন পরেই জানা যায়, বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে সোরসের সংস্থা।
একটি বিবৃতি দিয়ে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গোটা সংস্থার কার্যপদ্ধতি ঢেলে সাজানো হবে। সেই কারণেই পুরনো কর্মীদের ছেঁটে ফেলা দরকার। সংস্থার অন্তত ৪০ শতাংশ কর্মীকেই বরখাস্ত করতে বাধ্য হয়েছেন কর্তারা। আগামী দিনে ছাঁটাইয়ের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই অনুমান। এহেন পরিস্থিতিতে আলেকজান্ডারের মন্তব্যে আরও বিতর্ক বেড়েছে। বলেছেন, বাবার থেকেও বেশি রাজনীতি সচেতন তিনি। সংস্থার স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই তিনি চান, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন ফের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেন। তবে বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বাকস্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করবেন আলেকজান্ডার।
প্রসঙ্গত, জার্মানির মিউনিখে একটি সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন জর্জ। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”মোদি এই বিষয়ে (আদানি (Goutam Adani) কাণ্ড) নিয়ে এখনও নীরব। কিন্তু তাঁকে জবাব দিতেই হবে। এই ঘটনা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মোদির রাশকে দুর্বল করে দেবে।” স্বাভাবিক ভাবেই এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্র থেকে বিরোধী সকলেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তাঁর এমন মন্তব্যের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.