সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে উত্তপ্ত আমেরিকা। বিক্ষোভের উত্তাপ পৌঁছেছে হোয়াইট হাউস পর্যন্তও। প্রতিদিনই নতুন নতুন শহরে ছড়িয়ে পড়ছে হিংসা। এবার সেই ঘটনার আঁচ পড়ল ফেসবুকেও। সংস্থাটির কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গের বিরুদ্ধেই আওয়াজ তুলেছেন কর্মীদের একাংশ।
I don’t know what to do, but I know doing nothing is not acceptable. I’m a FB employee that completely disagrees with Mark’s decision to do nothing about Trump’s recent posts, which clearly incite violence. I’m not alone inside of FB. There isn’t a neutral position on racism.
— Stirman (@stirman) May 30, 2020
কেন বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মার্ক? এই প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে, মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেও বিক্ষোভ নিয়ে তোপ দেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পালটা হুমকি দিয়ে একটি টুইটও করেছিলেন তিনি। যা ক্রস-পোস্ট পদ্ধতির দৌলতে পোটাস (POTUS) বা মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফেসবুক পেজেও পোস্ট হয়। যদিও বিতর্কিত টুইটটি সরিয়ে দেয় টুইটার (Twitter), ফেসবুকের তরফে সেটিতে হাত দেওয়া হয়নি। আর এর জেরেই ফেসবুক (Facebook) কর্তা মার্ক জুকারবার্গের (Mark Zuckerberg) বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁরই সংস্থার কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন জুকারবার্গ। শুধু তাই নয়, বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ১ কোটি মার্কিন ডলার খরচের কথাও জানিয়েছেন তিনি। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ট্রাম্পের টুইট নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। এর আগে, Fox News-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জুকারবার্গ জানিয়েছিলেন, রাজনীতিবিদদের পোস্টে কোনও ‘Fact Check’ বা সত্যের অনুসন্ধান করবে না ফেসবুক। তাঁর এই মন্তব্যের পর থেকেই শোনা গিয়েছে বিরোধিতার সুর।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই শেতাঙ্গ পুলিশের হাঁটুর চাপে প্রাণ যায় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের। তারপর থেকেই কৃষ্ণাঙ্গ আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তারপরেও ক্ষোভের আঁচ কমেনি। ফ্লয়েড হত্যার পর প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলেও আমেরিকাতে পরিস্থিতি শান্ত হচ্ছে না। ইতিমধ্যে ওয়াশিংটনে ১ হাজার ৭০০ সেনা নামানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.