সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে উত্তপ্ত আমেরিকা। বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছেছে হোয়াইট হাউস পর্যন্তও। প্রতিদিনই নতুন নতুন শহরে ছড়িয়ে পড়ছে হিংসা। মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হতে খুন হওয়া কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড প্রতিবাদের যে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে গিয়েছেন, এবার তার আঁচ পড়েছে ইউরোপেও।
এবার ফ্লয়েড হত্যার বিচার চেয়ে লন্ডনে মার্কিন দূতাবাসের সামনে জমায়েত করেন শতাধিক মানুষ। তবে লকডাউন ভাঙা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যরা অবস্থান বিক্ষোভের পর তা তুলে নেন। এছাড়াও নতুন করে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে ব্রিটেনের ম্যাঞ্চেস্টার ও কার্ডিফ শহরেও। এদিকে, জার্মানির বার্লিনেও বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন শত শত মানুষ। বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে কানাডার টরন্টোতেও।
শেতাঙ্গ পুলিশের হাঁটুর চাপে প্রাণ গিয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের। তারপর থেকেই কৃষ্ণাঙ্গ আন্দোলনে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্ত। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তারপরেও ক্ষোভের আঁচ কমেনি। ফ্লয়েড হত্যার পর প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলেও আমেরিকাতে পরিস্থিতি শান্ত হচ্ছে না। ইতিমধ্যে ওয়াশিংটনে ১ হাজার ৭০০ সেনা নামানো হয়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে আন্দোলনকারীদের ভয়ে কার্যত হোয়াইট হাউসের গোপন বাঙ্কারে সাময়িক আশ্রয় নিতে হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দোর্দণ্ডপ্রতাপ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
এদিকে, মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম পি বার অভিযোগ করেন, হিংসার নেপথ্যে রয়েছে উগ্রপন্থী অতি বাম সংগঠন ‘আনতিফা’। ওই সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিক্ষোভ ছড়াচ্ছে আরও বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ন আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, “যে উগ্রপন্থী সংগঠন এই হিংসাত্মক কার্যকলাপ ঘটচ্ছে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।” জানা গিয়েছে, এপর্যন্ত সে দেশে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে প্রায় ৪ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে বিক্ষোভে রীতিমতো টালমাটাল অবস্থা আমেরিকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.