সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আগস্টে আফগানিস্তান (Afghanistan) পুনর্দখল করে তালিবান (Taliban)। তারপর থেকেই সেখানে চলছে জেহাদিদের শাসন। আসলে মার্কিন সেনা ও ন্যাটোর সেনা সেই দেশ ছাড়তেই তা পুরোপুরি দখলে চলে গিয়েছে তালিবানের। আপাতত সেখানে সন্ত্রস্ত জীবন কাটাচ্ছেন সাধারণ আফগানরা। কিন্তু তালিবানকে কি আর সরানো যাবে না আফগানিস্তান থেকে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বেরিয়ে আমেরিকা ও ব্রিটেনের ‘কালো ঘোড়া’ হয়ে উঠেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামি সাদাত। আপাতত ওই সামরিক নেতার নেতৃত্বেই প্রত্যাঘাতের পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই দাবি।
কে এই সামি সাদাত? কেন তাঁর উপরে এতটা ভরসা রাখছে পশ্চিমী শক্তি? আসলে দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ আফগানে তালিবান-বিরোধী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সামি। এর আগে তিনি ছিলেন আফগান সেনার এক দক্ষ সামরিক নেতা। এই কয়েক মাস তিনি লন্ডনে থাকলেও শিগগিরি তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও মজবুত করার পরিকল্পনা নিয়েছেন এই তরুণ। আপাতত সামির উপরেই আস্থা রাখতে চাইছে ওয়াশিংটন ও লন্ডন।
অবশ্য সাদাত একা নন। পঞ্জশিরের নেতা আহমেদ মাসুদ সাদাতের সঙ্গে জোট বাঁধছেন বলে খবর। এদিকে প্রাক্তন আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেও রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। তাঁদের সম্মিলিত লড়াই-ই শেষ পর্যন্ত তালিবানের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে বলেই দাবি।
তবে পশ্চিমী শক্তির মদতে এই লড়াইয়ে তালিবানের পরোক্ষ সমর্থক হয়ে উঠতে পারে ইরান, চিন ও রাশিয়া। শুক্রবারই রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই জানিয়েছেন, তাঁদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে তাঁরা আফগানিস্তানের পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখেছেন।
গত আগস্টেই কাবুল দখল করে তালিবান। তারপরই সেদেশে নেমে আসে অন্ধকার যুগ। আমজনতার নাভিশ্বাস উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সালে, মাসুদের সঙ্গে মিলে লড়াই চালিয়ে জেহাদিদের হাত থেকে আফগান মুলুককে উদ্ধার করতে পারেন কিনা সাদাত, সেটাই এখন দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.