সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আল শিফা হাসপাতালে তিন সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। পরিস্থিতি যা, বাকি শিশুদের অবস্থাও বিপণ্ণ। সাতটি শিশুকে একসঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে যাতে তাদের শরীর উষ্ণ থাকে। কিন্তু এতদসত্ত্বেও তাদের বাঁচানো যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ের কালো মেঘ ক্রমেই ঘন হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে শিশু বিভাগের প্রধান ড. মহম্মদ তাবাশা মুখ খুলেছেন।
তাঁর কথায় ঝরে পড়েছে হাহাকার, ”গতকাল আমার ৩৯টি শিশু ছিল। আজ ৩৬। তারাও কতক্ষণ টিকে থাকবে বলতে পারছি না। আজই হয়তো আরও দুজনকে হারাতে হবে। হয়তো এক ঘণ্টার মধ্যেই।” গাজা (Gaza) ভূখণ্ডে ইজরায়েলের হামলায় ধ্বংসের ছবিটা কত করুণ, তা যেন পরিষ্কার হয়ে উঠছে এই চিকিৎসকের অসহায় বিবৃতিতেই। পাশাপাশি শিশুগুলিকে একসঙ্গে রাখায় তাদের মধ্যে সংক্রমণও ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা।
আর এক চিকিৎসক হাম্মাম আল্লো। তিনি ওই হাসপাতালেরই নেফ্রোলজিস্ট ছিলেন। ইজরায়েলি সেনার আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এক নিউজ পোর্টালকে তিনি জানিয়েছিলেন, হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতেই পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাঁর রোগীদের কী হবে। হাম্মাম বলেছিলেন, ”ওঁদের তো যথাযথ চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।” এর পরই ইজরায়েলি হানায় মৃত্যু হয়েছে তরুণ চিকিৎসকের।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে (Israel) হামলা চালায় জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Hamas)। তার পর থেকেই জঙ্গিদের নিঃশেষ করার ডাক দিয়ে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। গাজার হাসপাতালগুলোতে অসুস্থ মানুষকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে হামাস জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছে, এমনটাই ধারণা ইজরায়েলের। আগেই গাজার বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ করা হয়েছিল। এখন জ্বালানির অভাবে কার্যত আঁধারে ডুবছে হাসপাতাল-সহ অন্যান্য এলাকা। হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা অসহায় শিশুদের সামনে তাই কার্যতই মৃত্যুর হাতছানি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.