Advertisement
Advertisement

Breaking News

G-20

জি-২০ দেখবে ভারত-চিন দ্বৈরথ! আসিয়ানে সুর বাঁধলেন মোদি

গালওয়ান থেকে ভারত মহাসাগরে লাগাতার সূঁচ ফোটাচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি।

G-20 summit may witness India-China tussle | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 8, 2023 2:06 pm
  • Updated:September 8, 2023 2:38 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া চিন। তবে এশিয়ার ভাগ্যবিধাতা হয়ে উঠতে না পারলে সে গুড়ে বালি। কিন্তু বেজিংয়ের এই অশ্বমেধ যজ্ঞে সবচেয়ে বড় বাধা মহাদেশের অন্যতম মহাশক্তি ভারত। তাই গালওয়ান থেকে ভারত মহাসাগরে লাগাতার সূঁচ ফোটাচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি। তবে ভারতও যে পালটা দেবে তা আসিয়ান-ইন্ডিয়া সম্মেলনে স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর শনিবার থেকে দিল্লিতে শুরু হতে চলা বহু চর্চিত জি-২০ সম্মেলনেও ভারত-চিন দ্বৈরথের ছাপ পড়বে তা স্পষ্ট।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অনুষ্ঠিত হয় আসিয়ান-ইন্ডিয়া সম্মেলন। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির হাতে কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার উপর জোর দিয়ে চিনের দিকে কঠোর বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আসিয়ানে ‘নতুন শীতল লড়াই’-এর উল্লেখ করে চিনা হুমকির পরেই বেজিংকে পাল্টা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশগুলির জোট আসিয়ান যে ভারতের ‘পুবে দেখো’ নীতির অন‌্যতম প্রধান স্তম্ভ, সেই কথাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনের মধ্যেই ১৫টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি, তালিকায় বাইডেন, সুনাক, ম্যাক্রোঁ]

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসনের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখন এমন একটি মহাসাগরীয় অঞ্চল তৈরি করা প্রয়োজন, যেখানে সব দেশের জন্য একই আন্তর্জাতিক আইন বলবৎ হয়। রাষ্ট্রসংঘের সমুদ্র আইনকে যেন সমান ভাবে সবাই মানে। সবার সুবিধার জন্য আইন মোতাবেক বাধাহীন বিমান এবং নৌ-বাণিজ্যের স্বাধীনতা থাকে।” মোদীর কথায়, “ভারত মনে করে, দক্ষিণ চিন সাগরে আচরণবিধি প্রয়োগ হওয়া উচিত।”

ভারতে জি-২০ সম্মেলনে আসছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট। ফলে মোদি-জিনপিং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনাও খারিজ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় চিনকে কড়া বার্তা দিল ভারত। মোদি জানালেন, শুধুমাত্র আর্থিক এবং বাণিজ্যিক লেনদেনের মধ্যে আসিয়ানকে সীমাবন্ধ না রেখে আসিয়ানকে বিশ্বের উন্নয়নে বৃহত্তর ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিষয়ে আসিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গিকেও ভারত যে সমর্থন করে সে কথাও নির্দ্বিধায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। মোদি বলেন, “একবিংশ শতক এশিয়ার শতক। অতিমারী পরিস্থিতিতেও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি।” উন্নয়নশীল এবং দরিদ্র দেশগুলিও যাতে কোভিডের টিকা পায়, তার জন্য তিন বছর আগে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আবেদন জানিয়েছিলে তিনি। 

সদ্যপ্রকাশ হওয়া মানচিত্র নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ জোরালো হওয়ার পর শুধু ভারতই (India) নয় পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশই একজোট হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। অভিযোগ, নিজেদের মানচিত্রে অন্য দেশের ভূখণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে ভৌগোলিক সম্প্রসারণবাদের বার্তা দিয়েছে বেজিং।
মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালীনই ‘লুক ইস্ট’ অর্থাৎ ‘পুবে দেখো’ নীতি গ্রহণ করে আসিয়ান-ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর কর্মসূচি নিয়েছিল নয়াদিল্লি। সেই বিষয়টির উপরেই ফের জোর দিয়ে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে নিজেদের ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করার বার্তা দিলেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘জনআন্দোলনের রূপ পেয়েছে ভারতের জি-২০ উদ্যোগ’, মত জয়শংকরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement