ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অফিসের কাজে গিয়েছিলেন অন্যত্র। কাজ মিটে যাওয়ার পর হোটেলে তিনি একেবারেই একা। তাই সময় কাটাতে সঙ্গ নিয়েছিলেন লাস্যময়ীর। হোটেলের বদ্ধ ঘরে উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠেছিলেন দু’জনেই। তাতে ঘটল বিপত্তি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল তাঁর। আর্থিক সাহায্যের দাবিতে সরব নিহতের পরিজন। যদিও অফিস ট্যুরে যৌন সম্পর্কের সময় মৃত কর্মীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে নারাজ নিহতের সংস্থা।
কোম্পানির কাজের সূত্রেই বাইরে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় স্থানীয় এক মহিলার। ধীরে ধীরে কাছাকাছি চলে আসেন দু’জনের। সেই মহিলার সঙ্গেই প্যারিসের একটি হোটেলে যান ওই ব্যক্তি। কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর বন্ধ ঘরে উদ্দাম যৌনতায় মেতে ওঠেন তাঁরা। মহিলার দাবি অনুযায়ী হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায় সহবাসের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই ব্যক্তি। মারাও যান তিনি।
এরপর তাঁর পরিজনেরা আর্থিক সাহায্যের দাবি জানান। কিন্তু ওই সংস্থা অফিস ট্যুরে গিয়ে যৌনতার সময় হৃদরোগে মৃত্যুর জেরে আর্থিক সাহায্য দিতে নারাজ। তাই ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তবে স্থানীয় আদালত নিহতের পরিজনদের পক্ষেই রায় দিয়েছে। নিহত কর্মীর আর্থিক সাহায্য পাওয়া উচিত বলেই জানানো হয়। তবে কোম্পানির তরফে এই রায়ের বিরোধিতা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের পালটা দাবি, কোম্পানির কাজ করতে করতে তিনি মারা যাননি। সহবাসের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছেন তিনি। তাই তাঁর পরিজনদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যায় ওই সংস্থা। তবে তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। উচ্চ আদালতও আর্থিক সাহায্যের পক্ষেই রায় দিয়েছে। বিচারকের দাবি, স্নান করা, খাবার খাওয়ার মতোই স্বাভাবিক যৌনতা। তাই অফিস ট্যুরে উদ্দাম যৌনতার মাঝে মৃত্যুর ঘটনাতেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আর্থিক সাহায্য দিতেই হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.