সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আটদিনের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্য। যার আঁচ এসে লাগল ফ্রান্সেও। শুক্রবার প্যারিসের রাস্তায় প্যালেস্টাইনের হয়ে সহানুভূতি দেখিয়ে বড় মাপের মিছিল করেন বেশ কয়েকজন ফরাসি। এই ধরনের প্রতিবাদ মিছিল দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করতে পারে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে কড়া হাতে প্রতিবাদ দমন করছে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর প্রশাসন।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফরাসি (France) পুলিশ রীতিমতো জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে, লাঠিচার্জ করে । উল্লেখ্য, হামাসের রকেট হামলার পরই ইজরায়েলের প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এর পর ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেশের মাটিতে প্যালেস্টাইনপন্থী প্রতিবাদ মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু তার পরেও প্যারিসের রাস্তায় ভিড় জমিয়েছিলেন প্যালেস্টাইনপন্থী বিক্ষোভকারীরা। সেই জমায়েত লাঠিচার্জ করে হঠিয়ে দেয় প্যারিসের পুলিশ। ফলে প্রতিবাদ মিছিল যে রেয়াত করা হবে না তা আগেভাগেই বুঝিয়ে দিলেন ম্যাক্রোঁ (Emmanuel Macron)।
বলে রাখা ভালো, ইজরায়েল ইহুদি প্রধান দেশ। অন্যদিকে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বাসস্থান প্যালেস্টাইনে। তাই বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় অংশ প্যালেস্টাইনের প্রতি সহানুভূতিশীল। তারা ইজরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে সরব। ফ্রান্সে মুসলিম জনসংখ্যা নেহাতই কম নয়। আবার প্রচুর ইহুদিও থাকেন সেখানে। ফলে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে নিহত প্যালেস্তিনিয় নাগরিকদের মৃত্যু নিয়ে চাপা উত্তেজনাও রয়েছে সেদেশে।
গত শনিবার ইজরায়েলের (Israel) বুকে বেনজির হামলা চালায় হামাস। তার পরই যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় হামাসের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ইজরায়েল। মৃত্যু হয়েছে গাজার দেড় হাজার মানুষের। প্রচুর হামাস জঙ্গিকেও নিকেশ করেছে ইজরায়েল সেনা। এই সঙ্ঘাতে বিশ্বের অনেক শক্তিশালী দেশ ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকা, ভারত ছাড়াও ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইটালি, জার্মানির মতো ইউরোপের দেশ ইজরায়েলের প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.