সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন বছর ধরে দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন প্রশাসনিক কাজকর্ম, জনপ্রিয়তাও কম ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড ফিলিপ বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে তদন্ত কমিটির মুখে পড়তে হচ্ছে। সেই দায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে গেলেন ফিলিপ। সেই পদত্যাগপত্র সঙ্গে সঙ্গে গ্রহণ করে ফিলিপের জায়গায় নতুন প্রধানমন্ত্রীকে আনলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরঁ (Emmanuel Macron)। করোনা মোকাবিলায় নিভৃতে ভাল কাজ করার পুরস্কার পেলেন জঁ কাটেক্স নামে মধ্যপন্থী নেতা। তাঁকেই এবার ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী পদে বসালেন প্রেসিডেন্ট ম্যাকরঁ।
এমনিতে প্রেসিডেন্টের ৫ বছরের মেয়াদকালে প্রধানমন্ত্রী বদলের বিষয়টা ফ্রান্সের সংসদীয় রাজনীতিতে সাধারণ ব্যাপার। প্রত্যেক প্রেসিডেন্টের সময়েই হয়ে থাকে। তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। COVID-19 মহামারীতে ইউরোপের অন্যতম অভিজাত দেশটি যে খুব কম ভুগেছে, তেমনটা নয়। ২ লক্ষের বেশি মানুষ করোনা পজিটিভ, মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছুঁইছুঁই। গ্রাফ নেহাৎ কম উর্ধ্বমুখী নয়।
এই পরিস্থিতি নিজে হাতে সামলাতে যখন হিমশিম খাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ, ঠিক সেইসময়েই নিভৃতে কাজ করে প্রেসিডেন্ট ম্যাকরঁর ভরসা আদায় করে নিয়েছেন মধ্যপন্থী নেতা জঁ কাটেক্স (Jean Castex)। যিনি একেবারেই জনপ্রিয় নন সে অর্থে। অন্তত প্রধানমন্ত্রী ফিলিপের জনপ্রিয়তার ধারেকাছে আসেন না। শোনা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণ সামলে ফ্রান্সে ধাপে ধাপে লকডাউন প্রত্যাহারের রূপরেখা ঠিক করতে জঁ কাটেক্সের ভূমিকা ছিল মুখ্য। কাটেক্স প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় ফ্রান্সের মন্ত্রিসভাতেও সামান্য রদবদলের সম্ভাবনা।
এদিকে সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড ফিলিপের পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় দায়সারা কাজের জন্য তদন্ত কমিটির মুখে পড়তে হচ্ছে আরও দুই প্রাক্তন মন্ত্রী – অ্যাগনেস বুজিঁ, অলিভার ভেরানকে। বুজিঁ ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়েছিলেন। তাঁর জায়গায় এসেছিলেন অলিভার ভেরান। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁকেও পদ ছাড়তে হয়। সম্প্রতি ফরাসি মন্ত্রিসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। তার মুখোমুখি হতে হচ্ছে পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী-সহ অন্য়ান্য মন্ত্রীদেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.