সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অ্যাঁদিনিয়ে-ভু!’ অর্থাৎ ‘ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠো!’ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁকে গদিচ্যুত করতে ২০১৮-এ এই স্লোগানেই উত্তপ্ত হয়েছিল ভালবাসার শহর। ওই ‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদের বছর না ঘুরতেই ফের প্যারিসের রাস্তায় নেমে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ প্রতিবাদী মানুষ। এবার প্রতিবাদের বিষয়বস্তু ফরাসি প্রেসিডেন্টের পেনশন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কাজে যোগ দিলেন না অধিকাংশ সরকারি কর্মচারী। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পরিবহণ ব্যবস্থায়। বাস, ট্রেন এবং কিছুক্ষেত্রে অন্তর্দেশীয় উড়ানও বাতিল হয়ে গিয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যায় কর্মী না আসায় কোপ পড়েছে হাইস্পিড ট্রেনেও। বন্ধ ছিল প্যারিসের মেট্রো পরিষেবাও। সরকারি পরিসংখ্যান মতে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ পথে নেমে প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেছেন। প্যারিসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯৬ জনকে। সরকারের তরফে আলোচনায় বসার বার্তা দেওয়া হলেও, শনিবার বা আজও কাজে যাননি ধর্মঘটীদের অনেকেই। প্রতিবাদীদের আশঙ্কা, সরকারের নতুন পেনশন নীতি কার্যকর হলে কাজের সময় আরও বেড়ে যাবে। এই নীতির প্রতিবাদেই প্রথমে ধর্মঘটের ডাক দেন পরিবহণ, হাসপাতাল, দমকলের কর্মীরা। পরে বাকিরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশ।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ফ্রান্সের অধিকাংশ মানুষ পেনশন ব্যবস্থায় সংস্কারের পক্ষে। কিন্তু, জটিল এই বিষয়টি সঠিকভাবে সামাল দেওয়ার ম্যাক্রঁ সরকারের ক্ষমতা ও বিচক্ষণতা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। বিষয়টি আরও স্পষ্ট ভাবে ধরা পড়েছে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়। যাতে দেখা গিয়েছে ফ্রান্সের ৭৬ শতাংশ মানুষ পেনশন ব্যবস্থায় বদল চান, কিন্তু ৬৪ শতাংশ মানুষই মনে করেন এটা সরকার সফল ভাবে করতে পারবে না। উল্লেখ্য, জ্বালানির ওপর কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত বছরের নভেম্বর মাসে ফ্রান্সের শহরগুলিতে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর বাণিজ্যনীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে শেষকৃত্য লন্ডন ব্রিজে নিহত জঙ্গি উসমান খানের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.