Advertisement
Advertisement

খুনের তদন্তে ‘সাক্ষী’ আফ্রিকার টিয়া

পোষ্য টিয়াটিই এই খুনের একমাত্র সাক্ষী৷ খুনের পর থেকেই সে নাকি ‘ডোন্ট শুট’ বুলিটি আওড়ে যাচ্ছে৷

Foul-mouthed parrot may be used as evidence in murder trial, prosecutor says
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 28, 2016 1:14 pm
  • Updated:June 28, 2016 1:45 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন মুলুকে একটি খুনের মামলার সাক্ষী হতে চলেছে এক টিয়া৷ আফ্রিকার এই টিয়াকে খুনের সাক্ষী হতে দেখে মনে হতেই পারে হিচককের কোনও সিনেমা নয় তো? কিন্তু ঘটনাটি সম্পূর্ণ বাস্তব৷ মিশিগানে গ্লেনা ডুরাম নামে ৪৮ বছর বয়সি এক মহিলার বিরু‌দ্ধে স্বামী মার্টিন ডুরামকে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ গত বছর মে মাসে মিশিগানের স্যান্ড লেকে তাঁদের বাড়িতে মার্টিনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পাওয়া যায়৷ পাশে ছিলেন গ্লেনা৷ তাঁর মাথায় গুলির আঘাত ছিল৷
মার্টিনের পরিবারের দাবি, ওই দম্পতির পোষ্য টিয়াটিই এই খুনের একমাত্র সাক্ষী৷ খুনের পর থেকেই সে নাকি ‘ডোন্ট শুট’ বুলিটি আওড়ে যাচ্ছে৷ মার্টিন ডুরামের মৃত্যুর পর টিয়ার এই কথা বলার একটি ভিডিও পর্যন্ত করা হয়েছে৷ মার্টিনের মৃত্যুর পর ওই দম্পতির পোষ্য টিয়াটি চিৎকার করে এক পুরুষ ও নারীর কলহের কথা বলতে থাকে৷ টিয়াটি পুরুষকণ্ঠ নকল করে বলে ‘বেরিয়ে যাও’, মহিলাটি বলেন, ‘আমি কোথায় যাব?’ তার পরই মার্টিনের পরিবারের দাবি, টিয়াটি পুরুষ কণ্ঠ নকল করে বলে, ‘ডোন্ট শুট৷’
নিওয়াগো কাউন্টির সরকারি অ্যাটর্নি রবার্ট স্প্রিংস্টেড বলেন, টিয়াটি আদৌ কী বলতে চাইছে, তা থেকে তিনি সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছেন৷ সত্যিই হত্যার জন্য কে দায়ী, তা টিয়াটির বয়ান থেকেই জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা৷ আফ্রিকার টিয়া সম্পর্কে জানাটাও তাঁর রোজকার কাজের মধ্যে পড়ছে৷ তিনি রোজ নতুন করে ভাবছেন মামলাটি নিয়ে৷ তবে আদৌ এই তথ্য কতটা বিশ্বাসযোগ্য তা যাচাই করে নিতেও তাঁরা ভুলবেন না৷ বিশেষ করে খুনের মামলায় এই তথ্য জরুরি কি না তাও যাচাই করছেন৷
মার্টিনের মা লিলিয়ান ডুরাম বলেন, টিয়াটি যা শোনে, সব কথাই শিখে ফেলে৷ যদিও গ্লেনা বারবার বলছেন, তাঁরা একসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন৷ কখনওই স্বামীকে মারতে চাননি তিনি৷ কিন্তু তদন্তকারীদের মত, আত্মহত্যা বা হত্যার এই মামলাটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে৷ তিনটি সুইসাইড নোট লেখার অভিযোগ রয়েছে গ্লেনার বিরু‌দ্ধে৷ এই দম্পতির আর্থিক সমস্যা ছিল, জানিয়েছে পুলিশ৷
একটি নোট ডুরাম দম্পতির সন্তানদের উদ্দেশে লেখা রয়েছে, সেখানে ক্ষমা চেয়েছেন তাঁরা৷ ১২ বছর ধরে জমা হতাশার জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়েছে৷ মার্টিনের বাবা চার্লস ডুরাম বলেন, “যাই হয়ে যাক৷ আমি আমার সন্তান হারিয়েছি৷ আমার পুত্রবধূকে হারাতে চলেছি৷” তাঁর স্ত্রী এই ঘটনার প্রকৃত সত্য জানতে চেয়ে বিচার চান বলেও জানান তিনি৷ সেই সত্যিটা জানতে চান তিনিও৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement