সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বে আরও একটি যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। ভবিষ্যদ্বাণী করলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Former US President Donald Trump)। তাঁর দাবি, এই যুদ্ধ বাঁধবে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যর্থতায়। এর আগে অবশ্য ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন ট্রাম্প।
এক টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, “পরবর্তী হামলা হবে তাইওয়ানে। চিন এখন চুপচাপ অপেক্ষা করছে। তবে ওরা তাইওয়ানে হামলা চালাবেই। এটা স্রেফ কিছু সময়ের অপেক্ষা।” আর এই যুদ্ধের জন্য তিনি বাইডেনকেই দায়ী করেছেন। ট্রাম্পের কথায়, “আসলে ওরা দেখছে আমেরিকার নেতৃত্ব কতটা অযোগ্য। আফগানিস্তানে কী ঘটেছে সেদিকে নজর রেখেছিলেন জিনপিং। দেখেছেন, আমরা কীভাবে আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়েছি। এই সুযোগেই নিজের মর্জি মোতাবেক কাজ করবে চিন।”
স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে অনেক দিন ধরেই নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসাবে বিবেচনা করে থাকে চিন। সাম্প্রতিক সময়ে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত এই দ্বীপটির উপর চিনের সার্বভৌমত্বের দাবি সোজাসুজি জানাতে শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের সরকার বলে, তারা শান্তি চায় কিন্তু প্রয়োজন হলে আত্মরক্ষা করবে। তাইওয়ানকেও সামরিক সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি বরাবর দিয়ে এসেছে আমেরিকা।
কিন্তু সম্প্রতি আফগানিস্তানকে তালিবানের হাতে ছেড়ে মার্কিন সেনা দেশে ফিরে গিয়েছে। আবার ইউক্রেনের যুদ্ধে মুখে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েও রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি তারা। তথৈবচ অবস্থা ন্যাটোরও। উলটে লড়াইটা কার্যত একা লড়ছেন বলে দাবি করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার এই ভূমিকার সুযোগ নেবে চিন, এমনটাই মনে করছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের গলাতেও।
জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাইওয়ানে সশস্ত্র চিনা আক্রমণ জাপানের জন্যও তা মারাত্মক বিপদ হয়ে উঠতে পারে। চুক্তি অনুযায়ী তাইওয়ানের আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে আমেরিকা সমর্থন দিতে বাধ্য। কিন্তু ইউক্রেনকে সাহায্য করার ব্যাপারে আমেরিকা যে রকম চুপচাপ রয়েছে, তাতে আর নিশ্চিন্ত বোধ করছে না জাপান, তাইওয়ানের মতো দেশগুলো!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.