ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি জঙ্গিরা জাস্টিন ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বিস্ফোরক দাবি করলেন কানাডা থেকে ‘বিতাড়িত’ ভারতীয় কূটনীতিক সঞ্জয়কুমার বর্মা। সদ্যপ্রাক্তন হাইকমিশনার আরও বলেন, কানাডায় থাকাকালীন লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি ট্রুডোর প্রশাসন।
দিনকয়েক আগে কানাডার তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের মামলায় ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মা ‘স্বার্থ সম্পর্কিত ব্যক্তি’। কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। তার পরেই কানাডা সরকারের নিশানায় থাকা ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সঞ্জয়কুমার বর্মা ও অন্যান্য কূটনীতিকদের দেশে ফেরার নির্দেশ দেয় ভারত। এই ঘোষণার পর পালটা দিয়ে ৬ ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডাও।
দেশে ফিরে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন সঞ্জয়কুমার বর্মা। তাঁর কথায়, “জাস্টিন ট্রুডোর বহু বন্ধু আছে যারা ভারতবিরোধী খলিস্তানি জঙ্গি। ওটাই তাঁর বন্ধুবৃত্ত। ২০১৮ সালে তিনি যখন ভারত সফরে এসেছিলেন তখন সকলেই দেখেছিল কী ঘটেছে।” উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ট্রুডোর ভারত সফরের সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল খলিস্তানি মনোভাবাপন্ন জসপাল আটওয়ালকে।
ট্রুডোর প্রশাসনকে তোপ দেগে সঞ্জয় আরও বলেন, “বারবার আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার পরে তিনজনের জন্য সামান্য নিরাপত্তা দেয় কানাডা। কিন্তু তার বাইরেও অনেকে ছিলেন।” নিজ্জর খুনের অভিযোগ নিয়ে সঞ্জয় বলেন, কানাডার তরফে আইনসম্মত কোনও প্রমাণ পেশ করা হয়নি ভারতের কাছে। ট্রুডোর সরকারও জানিয়েছে যে নিজ্জর খুনে ভারতের ভূমিকা নিয়ে গোয়েন্দা অনুমান ছাড়া কোনও পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই। উল্লেখ্য, খলিস্তানি নেতা গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন নিজেই বলেছিলেন, সঞ্জয় বর্মা এবং ভারতের অন্যান্য আধিকারিকরা গোয়েন্দা কার্যকলাপের জাল বিছিয়েছিলেন, নিজ্জর খুনে জড়িত ভারতীয় এজেন্টদের কীভাবে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছিলেন ভারত সরকারের আধিকারিকরা- এই সমস্ত তথ্যই কানাডার পুলিশকে তিনি দিয়েছেন
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.