সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে যাচ্ছেন মালদ্বীপের (Maldives) নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। আগামী ৮ জানুয়ারি তাঁর বেজিং যাওয়ার কথা। শুক্রবার চিনের (China) বিদেশ মন্ত্রক একথা জানিয়েছে। আর তার পরই ভারত জানিয়ে দিল, কে কোথায় যাবে সেটা তার ব্যাপার। একই ভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে তারা কীভাবে সেটাও তাদেরই ব্য়াপার।
উল্লেখ্য, চিনপন্থী হিসাবেই আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত মালদ্বীপের নয়া প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। তাঁর আমলে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবনতি হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে জানা গেল ৮ থেকে ১২ জানুয়ারি সময়কালে চিনে থাকবেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই মালদ্বীপের চিন-প্রীতিকে ভালোভাবে নিচ্ছে না নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণবীর জওসওয়াল জানিয়েছেন, ”এটা একেবারেই তাদের তারা কোথায় যাবে এবং কীভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলো বজায় রাখবে।”
উল্লেখ্য, মুইজ্জু বরাবরই ভারত বিরোধী। তিনি ক্ষমতায় আসীনও হয়েছেন ভারত বিরোধিতা করে। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভোটে জিতলে দেশ থেকে সরানো হবে ভারতীয় সেনাকে। তবে এখনও সেখান থেকে ভারতীয় সেনাদের সরানো হয়নি। কিন্তু ইতিমধ্যেই মোদির সঙ্গে করা চুক্তি বাতিল করে দিয়েছেন চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট। ২০১৯ সালে মালদ্বীপ সফরে গিয়ে এই চুক্তি সই করেছিলেন মোদি। তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৪ সালে জুন মাসে। দুই দেশের এই চুক্তি অনুযায়ী, মালদ্বীপের জলসীমায় পরীক্ষামূলক কাজকর্ম চালাবে ভারতীয় নৌসেনা। তার ফলে নৌপরিবহন, আর্থিক উন্নতি, পরিবেশরক্ষার মতো নানা ক্ষেত্রে একে অপরকে সাহায্য করবে দুই দেশ। এছাড়াও জলসীমায় নিরাপত্তা বাড়াতেও কার্যকরী ভূমিকা থাকবে ভারতীয় নৌসেনার। পরিস্থিতি যা, তাতে স্পষ্ট মুইজ্জুর আমলে ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছে ভারত ও মালদ্বীপের। পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে চিনের এই বাড়তে থাকা ‘গলাগলি’র দিকেও নজর রাখছে নয়াদিল্লি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.