সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলেমেয়েদের স্কুলে আর ঢুকতে পারবেন না মা। কচিকাঁচাদের কোনও অনুষ্ঠানেও অংশ নিতে পারবেন না তিনি। ফ্লোরিডার (Florida) এক স্কুলে এমনই ‘ফতোয়া’ জারি করা হয়েছে। কিন্তু কেন এমন নির্দেশ? অভিযোগ, ওই মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের খোলামেলা ছবি দিতেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাচ্চারা তাঁর সংস্পর্শে এলে বিপথে যেতে পারে। তাই অন্যান্য অভিভাবকদের অনুরোধ মেনে ওই মহিলাকে ‘ব্যান’ করে স্কুলটি। সেই ‘ফতোয়া’ অমান্য করে তার পরেও তিনি স্কুলে গিয়েছিলেন বলে খবর। সেখানে ঢুকতেই তাকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। এনিয়ে আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা।
ফ্লোরিডার বাসিন্দা ভিক্টোরিয়া ট্রিস। তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইট ‘অনলিফ্যানস’ (Adult Wesbsite OnlyFans) -এর সক্রিয় সদস্য। প্রতিদিনই সেই পেজে নিজের ‘বোল্ড’ ছবি দেন। তার অনুরাগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ভিক্টোরিয়ার দুই সন্তান। বয়স ৫ এবং ১০ বছর। তাঁর এহেন ‘কীর্তি’র জন্য ছেলেমেয়েদের স্কুলে তাঁর প্রবেশ যে নিষিদ্ধ হবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি ভিক্টোরিয়া।
জানা গিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটে ভিক্টোরিয়ার ছবি দেওয়ার ব্যাপারটা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন তৈরি হয় তাঁর ছেলেমেয়েদের স্কুলে। অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরা অভিযোগ জানান স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। বলা হয়, স্কুলের বাচ্চারা ভিক্টোরিয়ার সংস্পর্শে এলে বিপথে চালিত হতে পারে। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতে প্রভাব ফেলতে পারে ভিক্টোরিয়ার কীর্তিকলাপ। ইতিপূর্বে সেই স্কুলের একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন ভিক্টোরিয়া। এবার অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁকে বাধা দেওয়া হয়।
স্কুলের এহেন আচরণে স্তম্ভিত ভিক্টোরিয়া। তাঁর কথায়, “আমি ব্যক্তিগত জীবনে কী করি, তা নিয়ে অন্যদের কথা বলার কোনও অধিকার নেই। এটা তো বেআইনি নয়। বিনা কারণে আমার চরিত্র নিয়ে টানাটানি করা হচ্ছে। এদের আচরণে নিজেকে নিঃসঙ্গ বলে মনে হচ্ছে।”
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন আচরণের পর হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি ভিক্টোরিয়া। বরং স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকার মানহানির মামলা ঠুকেছেন তিনি। নোটিসও ধরিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে স্কুলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.