সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: মৃত্যুমিছিল যেন আর থামার নাম নেই মায়ানমারে (Myanmar)। বুধবার সেনার গুলিতে ফের প্রাণ হারালেন অন্তত ৫ জন। আহত বহু। গত ফেব্রুয়ারিতে জুন্টার (Junta) হাতে দেশের শাসনভার চলে যাওয়ার পরে শুরু হওয়া প্রতিবাদে এপর্যন্ত সেনার গুলিতে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৮০। নিন্দার ঝড় গোটা বিশ্বে। কিন্তু তাতেও যে হেলদোল নেই জুন্টার তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল বুধবার।
এদিন মায়ানমারের উত্তর-পশ্চিমের শহর কেল-এ মিছিল বের করেন গণতন্ত্রকামীরা। তাঁদের দাবি ছিল, দেশ থেকে সেনা শাসন প্রত্যাহার করে ফের আং সাং সুকির নেতৃত্বাধীন সরকারের হাতে দেশের শাসনভার তুলে দেওয়া হোক। সেই মিছিলের দিকে এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে মায়ানমারের সেনা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান অন্তত ৫ জন। আহত হন অনেকেই।
উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই দেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় মায়ানমার সেনা। পালটা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে পথে নামে দেশের আমজনতা। কোথাও তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তো কোথাও শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে। রাজধানী নাইপিদাও থেকে শুরু করে ইয়াঙ্গন পর্যন্ত প্রায় সমস্ত বড় শহরের রাস্তায় সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সরব হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। আর তাদের থামাতে নির্বিচারে গুলিবৃষ্টি করেছে জুন্টা। এপর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬০০-র কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। গোটা বিশ্ব নিন্দায় সরব হলেও নির্বিকার মায়ানমারের সেনা।
এদিকে মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে।বিশেষ করে গত শনিবারের পর থেকেই। ওই দিন শতাধিক আন্দোলনকারীকে হত্যা করেছিল জুন্টা। তারপর থেকেই মায়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকার গেরিলা বাহিনীগুলি সেনার বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধ শুরু করেছে। ২০ বা তার বেশি সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গর্জে উঠেছে জুন্টার আচরণের বিরুদ্ধে। মায়ানমারের সংসদের নির্বাসিত সদস্যদের নিয়ে তৈরি সেনা-বিরোধী গোষ্ঠীও এই গেরিলা বাহিনীগুলির সাহায্য নিতে প্রস্তুত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেরিলা জনজাতিদের গ্রামে আকাশপথে হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে জুন্টাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.