Advertisement
Advertisement

Breaking News

ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে এক মহিলার গা শিউরে ওঠা গল্প

গায়ে আগুন লাগানোর মতো এমন কঠিন সিদ্ধান্ত কীভাবে নিয়েছিলেন ইয়াসমিন?

fearing rape by isis yasmin burnt herself
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 24, 2016 6:08 pm
  • Updated:August 24, 2016 6:08 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরাকের উদ্বাস্তু তাঁবুতে এক-একটা রাত কেটেছে আতঙ্কে৷ তাঁবুর বাইরে থেকে আইএসআইএস জঙ্গিদের পায়ের শব্দ ভেসে আসত৷ এই বুঝি কোনও এক জঙ্গি এসে তাঁকে ফের ধর্ষণ করে৷ আতঙ্ক এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে ইজ্জত বাঁচাতে নিজেকে পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মেয়ে ইয়াসমিন৷ গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন৷ যাতে জঙ্গিরা আর তাঁকে ‘আকর্ষণীয়’ না মনে করে৷ মুখ, চুল, নাক, কান পুড়ে যায়৷ গত বছর এই অবস্থাতেই তাঁকে তাঁবু থেকে উদ্ধার করেছিলেন জার্মান চিকিৎসক জ্যান ইলহান কিজিলহান৷

সেসব আতঙ্কের দিন এখন অতীত৷ ইয়াসমিন এখন পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন৷ বাকি ১,১০০ জন মহিলা দলের সঙ্গে আইএস-এর ডেরা থেকে তিনিও পালিয়ে আসতে সফল হয়েছিলেন৷ মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে জার্মানিতে এখন চিকিৎসা চলছে ১৮ বছরের ইয়াসমিনের৷ সেই আগের ইয়াসমিন হয়ে উঠতে চান তিনি৷

Advertisement

yazidi-woman_650x400_51472025143

গত বছর এই সময়ই উত্তর ইরাকের সিঞ্জার প্রদেশ থেকে ইয়াজিদিদের কবজা করেছিল আইএস৷ এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিশুদের আইএস-এ যোগ দিতে বাধ্য করা হয়৷ পুরুষদের বাধ্য করা হয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে৷ রাজি না হলে তাঁদের মেরে ফেলত জঙ্গিরা৷ এবং মহিলাদের যৌনদাসীতে পরিণত করা হয়েছিল৷ ইয়াসমিনও তাঁদেরই মধ্যে একজন৷ সেই সময় আইএস-এর খপ্পর থেকে বহু মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয় দিয়েছিল জার্মানি৷

ইয়াসমিনের মতো উদ্ধার হওয়া মহিলাদের সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন চিকিৎসক জ্যান ইলহান কিজিলহান৷ আইএস-এর যৌনদাসীতে পরিণত হওয়া মহিলারা তাঁদের কথা জানিয়েছেন কিজিলহানকে৷ তিনি বলছেন, “জীবনে এমন অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি৷ ভাবুন, আপনার সামনে একটা ৮ বছরের শিশু বসে বলছে তাকে আইএস আটবার বিক্রি করেছিল আর ১০ মাসে ১০০ বার ধর্ষণ করেছে৷ শুনে কেমন লাগবে আপনার!”

গায়ে আগুন লাগানোর মতো এমন কঠিন সিদ্ধান্ত কীভাবে নিয়েছিলেন ইয়াসমিন? কিজিলহানের এমন প্রশ্নের উত্তরে ইয়াসমিন জানান, “ওদের শব্দ আমার কানে বাজত৷ সবসময় ভয় করত৷ আর পারছিলাম না৷ সেই জন্যই সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলি৷ আমাদের সঙ্গে কী হয়েছিল, তা গোটা বিশ্বের জানা উচিত৷ যাতে আর কাউকে এমন অবস্থায় না পড়তে হয়৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement