সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার সেনার গুলিতে খতম হল আত্মঘাতী হামলার মূলচক্রী জাহরানের বাবা ও দুই ভাই। মৃতদের নাম জাহনি হাসিম, রিলওয়ান হাসিম ও তাদের বাবা মহম্মদ হাসিম। রবিবার এ কথা জানা গিয়েছে ওই জঙ্গিদের এক আত্মীয় ও শ্রীলঙ্কা পুলিশ সূত্রে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার আত্মঘাতী হামলায় জড়িত জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটিতে হানা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। নিরাপত্তা রক্ষীদের আক্রমণে ওখানে লুকিয়ে থাকা ১৫ জন জঙ্গি খতম হয়েছে। এর মধ্যে আত্মঘাতী হামলার মূলচক্রী জাহরান হাসিমের বাবা মহম্মদ হাসিম, দুই ভাই জাইনি এবং রিলওয়ান হাসিমও রয়েছে।
এই মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে জাহরান হাসিমের শ্যালক নিয়াজ শরিফও। সে জানিয়েছে, ইস্টার সানডে উদযাপনের দিন কলম্বোর চার্চ ও হোটেলে যে হামলা হয়েছে তাতে ২৫০-র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই হামলার আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে যে ভিডিওটি ঘৃণা ছড়ানোর কাজে ব্যবহার হয়েছিল তাতে জাহরানের বাবা এবং দুই ভাইকে দেখা গিয়েছে। এমনকী ওই ভিডিও-তে ওদের ইসলামে অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে সবরকম যুদ্ধ চালানোর জন্য অনুপ্রাণিত করতেও দেখা যাচ্ছে।
তদন্তকারীদের সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী হামলায় জড়িত আরও এক অভিযুক্ত মহম্মদ মোবারক আজান ২০১৭ সালে দুবার ভারতে গিয়েছিল। তবে ওই হামলাকারীর ভারত সফরের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি তারা।
শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা আধিকারিকরা বলছেন, এই হামলার মূলচক্রী জাহরান শ্রীলঙ্কার উগ্রপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠী ন্যাশনাল তৌহিদ জামায়াতের (এনটিজে) অন্যতম শীর্ষনেতা ছিল। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার কাত্তানকুদি এলাকায় এনটিজে প্রতিষ্ঠাও হয়েছিল তার হাত ধরে। এমনকী সংগঠনের কাজে কেরল এবং তামিলনাড়ুতেও গিয়েছিল সে।
এদিকে ইস্টার সানডে-এর ঘটনার পরেই জঙ্গি হামলায় জড়িতদের ধরতে গোটা দেশে প্রায় ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। আত্মঘাতী হামলায় জড়িত দুটি ইসলামিক গ্রুপের সদস্যদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.