সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন তুলতে হলে প্রয়োজন ‘চূড়ান্ত নজরদারি’। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর সাবধানতা অবলম্বন না করলে ফের দ্রুত গতিতে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। ভারতে তৃতীয় দফার লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের পরপরই এই সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাঁরা বলছে অনেক দেশেই এখন দেখা যাচ্ছে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর নতুন করে শুরু হচ্ছে সংক্রমণ। উদাহরণ হিসেবে চিন, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়ার কথা বলছে WHO।
করোনার প্রকোপ কমায় গত কয়েকদিন ধরেই লকডাউন তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জার্মান সরকার। দক্ষিণ কোরিয়াও সংক্রমণের গতি কমার পর লকডাউন তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু মুশকিল হল, লকডাউনের বিধি শিথিল হতেই এই দেশগুলিতে নতুন করে সংক্রমণ শুরু হচ্ছে। একই ছবি চিনের ইউহানে। সেখানেও নতুন করে শুরু হয়েছে সংক্রমণ। সেই উদাহরণ তুলে ধরে WHO কর্তা মাইক রায়ান বলছেন, লকডাউন তুললে সংক্রমণ নতুন করে ছড়িয়ে পড়া রুখতে ‘চূড়ান্ত নজরদারি’ প্রয়োজন। কারণ সংক্রমণের ‘ক্লাস্টার’গুলি যদি থেকে যায়, তাহলে রোগটি নিচুতলায় চলতেই থাকবে। ফলে ভাইরাসটি আবার আক্রমণ করবে পুরোদমে, এমন ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত জটিল এবং কঠিন। অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) বলছেন, “মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য খুব ধীরে ধীরে তুলতে হবে লকডাউন। কড়া নজর রাখতে হবে ঘটনাক্রমের উপর। তাড়াহুড়ো করে লকডাউন তুললে বিপদ ফের বাড়তে পারে।”
তাড়াহুড়ো করে লকডাউন তোলা নিয়ে করোনা আক্রান্ত দেশগুলিকে আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)। কিন্তু তা বলে তো বছরভর এভাবে ঘরবন্দি থাকা সম্ভব নয়। এমনিতেই টানা লকডাউনের ফলে বহু মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তাই অনেক দেশই এবার বন্দিদশা কাটিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। ভারতও সেই দেশগুলির মধ্যেই একটি। কিন্তু WHO কর্তার সাফ কথা, “যতদিন না কোনও কার্যকরী প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে, ততদিন আমাদের নিয়ন্ত্রিতভাবেই এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.