ফাইল ছবি
সুকুমার সরকার, ঢাকা: শেষরক্ষা হল না। দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার, ‘জিয়া এতিমখান ট্রাস্ট’ মামলাটি সাজা ঘোষণা করে ঢাকার একটি আদালত। রায়ে পাঁচ বছরের জেলের সাজা হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। নেত্রী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আসন্ন নির্বাচনের আগে বড়সড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল।
[২ রাজাকারের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবনের সাজা বাংলাদেশে]
এদিন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান এবং মাগুরার প্রাক্তন সাংসদ কাজি সালিমুল হক কামাল, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকি, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরিফুদ্দিন আহমেদকেও দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। দোষী সাব্যস্তদের ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার করে জরিমানাও করেছেন বিচারক। উল্লেখ্য, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দরুন আগামী নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না খালেদা জিয়া।
বিরোধী নেত্রীর এই শাস্তির পর অশান্তি আটকাতে তৎপর হয়েছে সরকার। বুধবার থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানী ঢাকাকে। চলছে ব্যাপক ধরপাকড়, আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও। রায় দানের পর রাজধানীতে হিংসা ছড়াতে পারে খালেদা জিয়ার দল, এমনটাই আশঙ্কা করছে শাসক দল আওয়ামি লিগ। হাসিনা ও জিয়া সমর্থকদের মধ্যে হুমকি-পালটা হুমকিতে ক্রমশ চড়ছে পারদ। ফলে পুলিশের বিশাল বাহিনী ও নিরাপত্তারক্ষীদের মোতায়েন করা হয়েছে ঢাকা সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে। সমস্ত মিছিল বা জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া।
[আসন্ন নির্বাচন, বাংলাদেশে জোরাল হিন্দুদের সুরক্ষার দাবি]
উল্লেখ্য, ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় মূল অভিযুক্ত বিএনপি সুপ্রিমো। ওই রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কা করছে আওয়ামি লিগ। তবে এই সাজানো মামলায় জিয়াকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির। এই মামলা ছাড়াও এছাড়া আরও চারটি দুর্নীতির মামলা রয়েছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। ফলে তাঁর বিপদ আরও বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.