সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুঙ্গে বিতর্ক। আইনটির সমালোচনায় বাদ যায়নি ইউরোপীয় ইউনিয়নও (EU)। সদ্য CAA বিরোধী যৌথ প্রস্তাব এনেছেন EU সদস্যরা। বুধবার তা নিয়ে বিতর্কের পর ভোটাভুটি হওয়ার কথা থাকলেও শেষমেশ পিছিয়ে যায় সেই প্রক্রিয়া। এই গোটা বিষয়টিকে ‘কূটনৈতিক জয়’ হিসেবেই দেখছে ভারত।
জানা গিয়েছে, বুধবার দীর্ঘ আলোচনার পর আপাতত ভোটাভুটি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদ। আগামী মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছে। ভোটাভুটি পিছিয়ে দিতে এদিন EU সংসদে একটি সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করেন ‘ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টি’র সাংসদ মাইকেল গেহলার। তাঁর বক্তব্য, কয়েকদিন পরই ইউরোপে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই প্রস্তাবটি নিয়ে সাংসদদের সঙ্গে মোদির আলোচনা পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। তিনি আর বলেন, “CAA বিষয়টির ভারতের সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কেন্দ্র সরকারের কাছে জবাব চেয়েছে আদালত। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করা উচিত।”
উল্লেখ্য, মাছ মাসের ১৩ তারিখ ‘ইইউ-ইন্ডিয়া সামিট’-এ জগ দিতে ব্রাসেলস যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে EU সফরে যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তখন EU সাংসদদের সঙ্গে CAA নিয়ে আলোচনা করতে পারেন তিনি। এদিকে, EU সংসদের এই পদক্ষেপকে কূটনৈতিক জয় বলেই মনে করছে ভারত। এই প্রস্তাবগুলির নেপথ্যে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাংসদ শাফাক মহম্মদের হাত রয়েছে বলেও দাবি করেছে নয়াদিল্লি। বিশ্লেষকদের মতে, EU’র আনা কোনও প্রস্তাবই মানতে বাধ্য নয় ভারত। তবে এর ফলে EU ও ভরতের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ৭৫১জন সদস্যর মধ্যে ৬০০জন সদস্য কাশ্মীর ও CAA’র বিরুদ্ধে ছ’টি প্রস্তাব এনেছেন। তাঁদের অভিযোগ, “ভারতে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে যে পন্থা নেওয়া হয়েছে তা বিশ্বব্যাপী বৃহত্তর রাষ্ট্রহীনতার পরিসর তৈরি করবে। রাষ্ট্রহীন হবে বহু মুসলিম। অসংখ্য মানুষকে যার ফল ভুগতে হবে।” ৭১তম সাধারণতন্ত্র দিবসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এধরণের প্রস্তাব কেন্দ্রের মোদি সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.