সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝ আকাশে বিমান দুর্ঘটনা। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিগামী বিমান বোয়িং ৭৩৭ ভেঙে অন্তত ১৬৫ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইথিওপিয়ার বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বিমানে ১৫৭ জন যাত্রী এবং ৮ জন কেবিন ক্রু ছিলেন। কারওরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইথিওপিয়া প্রশাসন টুইট করে নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টা ৩৮ নাগাদ আদ্দিস আবাবার বোলে বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমান। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির উদ্দেশে ওড়া বিমানে ছিলেন ১৫৭ জন যাত্রী। ছিলেন ৮ জন কেবিন ক্রু। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বিমান ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ৮টা ৪৪ নাগাদই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই বিমানটি আদ্দিস আবাবার দক্ষিণ পশ্চিমে বিশোফতু শহরের উপর ভেঙে পড়েছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, “তল্লাশি অভিযান এবং উদ্ধারকাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। কিন্তু আমাদের কাছে নির্দিষ্ট কোনও তথ্যই নেই যে কার কী পরিস্থিতি। কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে কিনা, তাও বুঝতে পারছি না।” জনবহুল এলাকায় যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়ায় সেখানেও কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাও বুঝতে পারছে না প্রশাসন।
[মেক্সিকোর নাইট ক্লাবে দুষ্কৃতী হামলা, মৃত কমপক্ষে ১৫]
এমনিতে ইথিওপিয়ার বিমান পরিষেবা আফ্রিকার মধ্যে অন্যতম বড় পরিবহণ ব্যবস্থা। যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে বেশ নির্ভরশীল। ফি বছর ইথিওপিয়ার বিমানে ১ কোটি যাত্রী পরিবহণের রেকর্ড আছে। দুর্ঘটনার তেমন ঘটনা সাধারণত ঘটে না। এর আগে ২০১০ সালে বেইরুট থেকে একটি বিমান ইথিওপিয়া যাওয়ার পথে বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তারপর থেকে বড় দুর্ঘটনার খবর নেই। ফের রবিবারের দুর্ঘটনায় সেই স্মৃতিই উসকে উঠছে। ইতিমধ্যেই ইথিওপিয়া প্রশাসন টুইট করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে। আর প্রশাসনের এই পদক্ষেপেই অনেকে মনে করছেন, বিমান দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। তা সত্ত্বেও প্রিয়জনদের খোঁজে বোলে বিমানবন্দরে ভিড় জমাচ্ছেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানযাত্রীদের আত্মীয়, পরিজনরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.