Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ethiopia

আট মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর তাইগ্রেতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল ইথিওপিয়া

তাইগ্রে প্রদেশের রাজধানী মেকেলের দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা।

Ethiopia has declared ceasefire as rebels retake Tigray capital | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 29, 2021 10:23 am
  • Updated:June 29, 2021 10:23 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আট মাস ধরে চলা যুদ্ধের শেষে তাইগ্রে প্রদেশে একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল ইথিওপিয়া (Ethiopia)। এমনটাই জানিয়েছে সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম।

[আরও পড়ুন: Coronavirus: দেশের কোভিড গ্রাফে বড়সড় পতন, ১০২ দিনে সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণ]

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার তাইগ্রে প্রদেশের রাজধানী মেকেলের দখল নিয়েছে ইথিওপিয়ার সরকার বিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক দল ‘তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট’ (TPLF)। এক বিবৃতিতে দলের মুখপাত্র গেটাচিউ রেডা বলেন, “মেকেলের দখল সম্পূর্ণভাবে আমাদের হাতে।” রাষ্ট্রসংঘের এক রিপোর্ট মোতাবেক, তাইগ্রে প্রদেশে যুদ্ধের ফলে কার্যত দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ। কিন্তু ফৌজ পাঠিয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও তাইগ্রে বিদ্রোহীদের কিছুতেই বাগে আনতে পারেননি ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। শুধু তাই নয়, মেকেলে ফের দখল করেছে বিদ্রোহীরা। এহেন পরিস্থিতিতে চাপের মুখে পড়েই শান্তির বার্তা দিয়েছেন আবি বলেই মত বিশ্লেষকদের। সরকারের তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, জুনের ২৮ তারিখ থেকে চাষের মরশুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চলবে। বলে রাখা ভাল, মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ইথিওপিয়ায় চাষের মরশুম হিসেবে ধরা হয়। ওই সময়ের মধ্যেই দেশটির কৃষকরা ফসল ঘরে তোলেন।ইথিওপিয়ার ৯০ শতাংশ শস্য উৎপাদন হয় এই পাঁচ মাসে।

Advertisement

এদিকে, ২০২০ সালের নভেম্বরে তাইগ্রেতে ইথিওপিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে আকস্মিক হামলা হয়। তারপর দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় এই প্রদেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেখানে আইনের শাসন ফেরাতে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন আবি আহমেদ। প্রাদেশিক রাজধানী মেকেলে থেকে টিপিএলএফের নেতাদের উৎখাতের পর অভিযান সফল হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে তাইগ্রেতে আদ্দিস আবাবার অনুগত অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন নিয়োগ করেন আবি আহমেদ। তারপর এই অঞ্চলে অসামরিক লোকজনদের লক্ষ্য করে চালানো হয় ব্যাপক হিংসা ও গণহত্যা। দুই পক্ষের রাজনৈতিক লড়াইয়ের মাশুল দিতে হয় আমজনতা।

[আরও পড়ুন: জেহাদি নেটওয়ার্কে বড়সড় আঘাত, কাশ্মীরে নিহত লস্করের শীর্ষ কমান্ডার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement