সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খরচ কমাতে খারাপ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। তার জেরেই সাবমেরিন টাইটান (Submarine Titan) ভেঙে পড়েছে। বিস্ফোরক দাবি করলেন নিউ ইয়র্কের একদল ইঞ্জিনিয়ার। তাঁদের অনুমান, সাবমেরিনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে না দেখেই টাইটানিকের অভিযান শুরু করে দিয়েছিল আয়োজক সংস্থা ওশানগেট (Oceangate)। প্রসঙ্গত, গত মাসেই আটলান্টিক মহাসাগরের তলায় ভেঙে পড়ে সাবমেরিন টাইটান। সলিল সমাধি ঘটে সাবমেরিনে থাকা পাঁচ অভিযাত্রীর।
কী করে টাইটানের দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। সেখানেই একাধিক ইঞ্জিনিয়ারের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তাঁদের মতে, খরচ কমাতে ত্রুটিপূর্ণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল টাইটান সাবমেরিনে। তাছাড়াও সাবমেরিনটিকে টেনে তোলার জন্য যে ‘মাদারশিপ’ থাকে, সেটিও অত্যন্ত নিম্নমানের বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সাবমেরিনে যাত্রী বহনের ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও পাঁচজনকে নিয়ে সাগরের অতলে পাড়ি দেয় টাইটান।
মাত্র ৯ ফিট লম্বা ও ৮ ফিট চওড়া ছিল এই সাবমেরিনটি। ডুবোজাহাজ তৈরির যে নির্দিষ্ট নিয়মাবলি ছিল, সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলিই মানা হয়নি। টাইটানিয়ামের মতো শক্তিশালী ধাতুর পরিবর্তে কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়েছিল ওই সাবমেরিনের সিলিন্ডার। সেই কারণেই জলের তলায় প্রবল চাপের মধ্যে ভেঙে পড়ে সাবমেরিন। সব মিলিয়ে, ওশানগেট সংস্থার গাফিলতির কারণেই টাইটান বিপর্যয় ঘটেছে বলে মত ইঞ্জিনিয়ারদের।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন সমুদ্রের গভীরে যাত্রা করে টাইটান। কিন্তু এর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরেই তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায় উপরের পৃথিবীর। বেশ কয়েকদিন পরে পাওয়া যায় সাবমেরিনের (Submarine Titan) ধ্বংসাবশেষ। সন্ধান মেলে সাবমেরিনে থাকা পাঁচ যাত্রীর দেহাংশেরও। কী করে ওই ডুবোজাহাজটি ভেঙে পড়ল তা অবশ্য জানা যায়নি। কিন্তু পুরনো যাত্রীরা অভিযোগ তুলেছেন সংস্থার কর্ণধারদের দিকেই। তাঁরা দুষছেন ওশেনগেট কোম্পানির সিইও স্টকটন রাশকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.