সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাড়াহুড়ো করে লকডাউন তোলা নিয়ে করোনা আক্রান্ত দেশগুলিকে আগেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)। কিন্তু তা বলে তো বছরভর এভাবে ঘরবন্দি থাকা সম্ভব নয়। এমনিতেই টানা লকডাউনের ফলে বহু মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তাই অনেক দেশই এবার বন্দিদশা কাটিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। ভারতও সেই দেশগুলির মধ্যেই একটি। যে সমস্ত দেশ এবার লকডাউন শেষ করে বেরিয়ে আসতে চাইছে তাদের সতর্ক করল WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) বলছেন, লকডাউন যদি তুলতেই হয়, তাহলে তা তুলুন অতি সাবধানে। নাহলে, একলাফে অনেকটা বেড়ে যেতে পারে আক্রান্তের সংখ্যা।
বুধবার এক ভারচুয়াল সংবাদ বিবৃতিতে ঘেব্রিয়েসুস বলেন,”যদি খুব দ্রুত লকডাউন তুলে নেওয়া হয়, তাহলে এই ভাইরাস আরও দ্রুতগতিতে ছড়াতে পারে। তাই লকডাউন তুলতে হবে অত্যন্ত যত্ন সহকারে। আর যদি এটা যত্ন সহকারে এবং ধাপে ধাপে না তোলা হয়, তাহলে আবারও খুব তাড়াতাড়ি লকডাউনে ফিরে আসার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।” উল্লেখ্য, লকডাউনের জেরে বিশ্বব্যাপী বহু দেশ চরম আর্থিক দুর্দশার মধ্যে পড়েছে। আর্থিক ব্যবস্থায় গতি ফেরাতে অনেক দেশই দ্রুত স্বাভাবিক জনজীবনে ফিরতে চায়। কিন্তু WHO সাফ বলছে, তাড়াহুড়ো করলে তার ফল ভাল হবে না।
উল্লেখ্য, বিধিনিষেধের আওতায় থাকা দেশগুলিকে আগেই লকডাউন তোলার গাইডলাইন ধরিয়ে দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই গাইডলাইন মেনেই লকডাউন তোলার পরামর্শ দিচ্ছে তারা। গাইডলাইনটিতে বলা ছিল, লকডাউন তুলতে হলে অন্তত ৬টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
১। সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
২। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে,
সংক্রমণ হলেও আক্রান্তদের সনাক্ত করে তাঁদের পরীক্ষা,
আইসোলেশন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে।
৩। হাসপাতাল বা নার্সিং হোমগুলিতে সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
৪। স্কুল, অফিসের মতো প্রয়োজনীয় জায়গায় করোনা প্রতিরোধ
করার মতো পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে।
৫। কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হলে তা সামলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি
চূড়ান্ত।
৬। নতুন স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে সকলে সচেতন এবং এর সঙ্গে
মানিয়ে নিতে প্রস্তুত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.