Advertisement
Advertisement
Elon Musk

ইরান-আমেরিকা সংঘাত থামাতে কূটনীতির খেলায় মাস্ক! বৈঠক ইরানি ‘দূতে’র সঙ্গে

ট্রাম্প প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে নিয়েছেন ধনকুবের মাস্ক।

Elon Musk meets Iran’s UN ambassador in New York
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:November 15, 2024 8:26 pm
  • Updated:November 15, 2024 8:27 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরান-আমেরিকা সংঘাত বহুদিনের। গাজাযুদ্ধের পর থেকেই দুদেশের মধ্যে চাপানউতোর আরও বেড়েছে। এবার ওয়াশিংটন-তেহরানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঠিক করতে আসরে টেসলা কর্তা এলন মাস্ক! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই তাঁর প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে নিয়েছেন ধনকুবের মাস্ক। আর দায়িত্ব পেয়েই প্রযুক্তির ময়দান থেকে কূটনীতির খেলায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন তিনি। 

নিউ ইয়র্ক টাইমস সূত্রে খবর, গত সোমবার রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সইদ ইরাভানির সঙ্গে দেখা করেন মাস্ক। নিউ ইয়র্কে প্রায় দেড় ঘণ্টার জন্য বৈঠকে বসেন দুজনে। তবে ঠিক কী নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন সেবিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ দুদেশের আধিকারিকরাই। তবে মনে করা হচ্ছে, নানা সমস্যার সমাধান করে কীভাবে ইরান-আমেরিকা সংঘাত দূর করা যায়, সেনিয়ে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে তাঁদের মধ্যে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়েও হয়ত কথা বলেছেন দুজনে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ট্রাম্প জমানাতেই নিহত হন ইরানের ‘কাডস ফোর্স’-এর কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলেমানি। সেবছরের ৩ জানুয়ারি ট্রাম্পের নির্দেশেই বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলা হয়। সোলেমানি-সহ প্রাণ যায় ৮ জনের। পালটা মার্কিন সেনাঘাঁটিতে রকেট হামলা চালিয়েছিল ইরানের সেনা। সেই থেকেই দুদেশের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে।

Advertisement

এদিকে, ট্রাম্প ২.০ সরকারে মাস্কের আসা নিয়েও নানা আলোচনা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। এই নির্বাচনে শুরু থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন টেসলা কর্তা। নির্বাচনী প্রচারেও রিপাবলিকান নেতার হয়ে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছে এক্সের মালিককে। ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর ট্রাম্পের পারিবারিক ছবিতেও জায়গা করে নেন মাস্ক। ঠিক যেন ছায়াসঙ্গীর মতোই সর্বক্ষণ ট্রাম্পের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ নামে একটি মন্ত্রক গড়ার ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। আর এই মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাস্ককে।

এরকম কোনও প্রশাসনিক পদ যে মাস্ক পাবেন তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। অনেকেই মনে করছেন ট্রাম্পের অন্যতম উপদেষ্টা হয়ে উঠেছেন মাস্ক। কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা ফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প। সেসময়ও তাঁর সঙ্গে ছিলেন এই ধনকুবের। কথা বলতে বলতেই সটান মাস্কের হাতে ফোন দিয়ে দেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেন টেসলা কর্তা। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে প্রায় ঘণ্টা খানেক কথা হয় তিনজনের মধ্যে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement