সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে আট মাস হয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine)। কিন্তু এখনও থামেনি লড়াই। এই পরিস্থিতিতে এবার আসরে অবতীর্ণ মার্কিন (US) ধনকুবের এলন মাস্ক (Elon Musk)। কিন্তু শান্তি ফেরাতে তাঁর দেওয়া প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। আসলে এই সংঘর্ষের নিষ্পত্তি করতে জনমত সংগ্রহের কথা বলেছেন টেসলার মালিক। আর তাতেই রেগে গিয়েছেন জেলেনস্কি (Volodymyr Zelensky)। তীব্র সমালোচনা করেছেন মাস্কের।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞাকে উড়িয়ে দিয়ে ক্রাইমিয়ার মতোই পূর্ব ইউক্রেনের দখলকৃত অংশে গণভোট করিয়েছে রাশিয়া। ওই চার অঞ্চলেই ভোট মস্কোর পক্ষে গিয়েছে বলে দাবি পুতিন বাহিনীর। যদিও ওই গণভোটের তীব্র বিরোধিতা করেছে কিয়েভ। প্রতিবাদে মুখর হয়েছে পশ্চিমি দেশগুলিও। মাস্কের প্রস্তাব, ওই চার অঞ্চলে এবার রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হোক। পাশাপাশি ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়াকে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চলের স্বীকৃতি দিক ইউক্রেন।
Ukraine-Russia Peace:
– Redo elections of annexed regions under UN supervision. Russia leaves if that is will of the people.
– Crimea formally part of Russia, as it has been since 1783 (until Khrushchev’s mistake).
– Water supply to Crimea assured.
– Ukraine remains neutral.
— Elon Musk (@elonmusk) October 3, 2022
আর মাস্কের এহেন প্রস্তাবেই চটেছেন জেলেনস্কি। তিনি পালটা একটি গণরায় চেয়েছেন টুইটারে। তাঁর প্রশ্ন, ‘আপনি কোন এলন মাস্ককে বেশি পছন্দ করবেন? যিনি ইউক্রেনকে সমর্থন করেন নাকি যিনি রাশিয়াকে সমর্থন করেন?’ কেবল জেলেনস্কিই নন, ইউক্রেন প্রশাসনের অন্যান্যরাও রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে মাস্ক জানিয়েছেন, রাশিয়া যদি পুরোদস্তুর যুদ্ধের পথে হাঁটে, তাহলে দুই দেশেরই বহু মানুষ মারা যাবেন। তাঁর প্রস্তাব, ”ইউক্রেনকে জিততে হলে পুরো যুদ্ধে নামতে হবে। যদি আপনারা ইউক্রেনের মানুষের পরোয়া করেন, শান্তির দাবি তুলুন।”
এদিকে, গণভোট নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই জানিয়েছিলেন, অধিকৃত অঞ্চলে যদি গণভোট হয়, তা হলে আলোচনার সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটা কোনওভাবেই মেনে নেবে না ইউক্রেন ও তার মিত্র দেশগুলি। কিন্তু যুদ্ধে কিছুটা বেকাদায় পড়লেও সেই হুমকি উড়িয়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। ফলে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে আগামিদিনে যুদ্ধের ঝাঁজ যে আরও বাড়তে পারে, সেই উদ্বেগ রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.