প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘোষিত হল পাকিস্তানের (Pakistan) সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণ। নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিনমাস পরে সেদেশে ভোট হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভোট হবে। মাসের একেবারে শেষ সপ্তাহে নির্বাচনী লড়াই শুরু হবে বলেই পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকবার বিরোধীরা অভিযোগ এনেছেন, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)।
সঠিক সময়ে নির্বাচন আয়োজন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের কেয়ারটেকার সরকারকে। আগস্ট মাসে মন্ত্রিসভা ভেঙে তৈরি হয় নতুন সরকার। সেই সময়ে জানা গিয়েছিল, চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই পাকিস্তানে নির্বাচন হবে। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে সরকার ভেঙে দিতে হয়। কিছুদিনের জন্য দেশ চালানোর ভার নেয় কেয়ারটেকার সরকার। নির্বাচনে লড়ার জন্য কোনও দলই যেন বেশি সুবিধা না পায়, তা নিশ্চিত করতেই এমন নিয়ম।
তবে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক দেরিতেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে সেদেশে নির্বাচন হবে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকভাবে নির্বাচনী কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশিত হবে। ৩০ নভেম্বর চূড়ান্ত কেন্দ্র তালিকা জানা যাবে। প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ৫৪ দিনের মধ্যেই ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শাহবাজ শরিফের দলের পরিকল্পনা অনুযায়ীই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছিল ইমরান খানের (Imran Khan) দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। কিন্তু বর্তমানে তিনি জেলবন্দি। নির্বাচনে আদৌ তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তাছাড়াও আর্থিক সংকটে কার্যত বিপর্যস্ত পাকিস্তান। তার মধ্যে নির্বাচন হলে দেশজুড়ে হিংসা ছড়াতে পারে। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলে পাকিস্তানে হিংসা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.