সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে করোনায় রক্ষে নেই, ইবোলা দোসর। এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের কামড়ে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। তারই মধ্যে আফ্রিকার কঙ্গোয় ফের দাপট নিয়ে ফিরল ইবোলা ভাইরাস। যা নিয়ে চিন্তিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। একমাসেরও বেশি সময় ধরে সে দেশে অন্তত ৫০ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে ইবোলা। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।
মে মাসের মধ্যভাগ থেকে আফ্রিকার প্রত্যন্ত দেশগুলিতেও হানা দিয়েছিল করোনা ভাইরাস। তবে এই মহামারির মধ্যেই যে আফ্রিকায় আরেক অভিশাপ ইবোলা (Ebola) ভাইরাসও থাবা বসাবে, তা কারও কল্পনায়ও আসেনি। কারণ, দীর্ঘ সময় ধরে লড়াইয়ের পর আফ্রিকায় ইবোলার সংক্রমণ রুখতে সক্ষম হয় চিকিৎসক মহল। সেই সাফল্যের কথা ঘোষণা করেছিল WHO.
২০১৫-১৬ সাল থেকে ইবোলা ভাইরাসের কবলে পড়ে প্রচুর প্রাণহানি হয়েছিল আফ্রিকা মহাদেশে। বিশেষত লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওনের মতো দরিদ্র দেশগুলিতে। সেসময় COVID-19’এর মতোই অজানা রূপ ধরে হানা দিয়েছিল ইবোলা। প্রতিষেধক আবিষ্কার দুষ্কর হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। ঠিক আজ যেমন করোনাকে বাগে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানী মহলকে।
WHO’র জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান কঙ্গোয় (DR Congo) ইবোলার দাপটের খবর জানিয়ে বলছেন, ”আচমকা এই রোগের প্রকোপ বেশ দেখা দিচ্ছে। এখনই সতর্ক হওয়া দরকার বলে মনে করি।” তিনি আরও বলছেন, করোনা আবহে অন্যান্য সংক্রামক রোগগুলির দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না। তাতে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা থাকছে। কারণ, কঙ্গোর নর্থ কিভু প্রদেশ ও আশেপাশের এলাকায় যেভাবে ইবোলা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না বলেই মনে করেন মাইক রায়ান।
গত ১ জুন থেকে এসব এলাকায় ইবোলা ভাইরাসের প্রকোপ প্রশাসনের নজরে এসেছে। কারণ, কঙ্গোর এসব এলাকা থেকে কঙ্গো নদী পেরিয়ে মানুষ অনেক দূরদূরান্ত পর্যন্ত যায় জীবিকার সন্ধানে। সেখান থেকে সংক্রমণ কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে করোনার সঙ্গে ইবোলার হানা নিয়ে চিন্তা বাড়িয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.