সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল খরার কবলে পড়েছে থাইল্যান্ড। অনেকদিন এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেই জানাচ্ছেন সেদেশের বাসিন্দারা। বেশিরভার এলাকার মানুষই ভুগছেন জলকষ্টে। তবে এর মাঝেই একটি মন্দিরের পুর্নজন্মে হাসি ফুটেছে সেদেশের বৌদ্ধধর্মাবলম্বী মানুষদের মুখে। কারণ, খরার জেরে মধ্য থাইল্যান্ডের একটি জলাধারের জলস্তর কমে ২০ বছর বাদে জেগে উঠেছে একটি বৌদ্ধ মন্দির। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে ওয়াট নং বুয়া ওয়াই নামে পরিচিত ওই মন্দিরটি দেখতে দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন বৌদ্ধরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ বছর আগে মধ্য থাইল্যান্ডের লোপবুরি এলাকায় ওই জলাধারটি তৈরি করা হয়েছিল। ৯৬০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ওই জলাধারটি থেকে চারটি প্রদেশের পাঁচ লক্ষ ২৬ হাজার হেক্টর জমি চাষের জল সরবরাহ করা হত। কিন্তু, এবছর প্রবল খরার জেরে মাত্র একটি প্রদেশে ১,২১৪ হেক্টর জমিতে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। এর ফলে প্রচণ্ড জলকষ্টে ভুগছেন এই জলাধারের উপর নির্ভরশীল মানুষ। কিন্তু, এই বিপদের মাঝেই জল থেকে জেগে উঠেছে বৌদ্ধ মন্দির। তবে দীর্ঘদিন জলের নিচে থাকায় মাথা ভেঙে গিয়েছে সেখানে থাকা ১৩ ফুটের বুদ্ধ মূর্তির। যদিও তাতে ভ্রূক্ষেপ করছেন না বৌদ্ধধর্মাবলম্বী মানুষরা। দু’দশক পরে প্রিয় দেবতার এভাবে ফিরে আসার ঘটনাকে চাক্ষুষ করতে দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন তাঁরা। সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন ফল ও ফুল।
এপ্রসঙ্গে ৬৭ বছরের সোমচাই অর্ঞ্চাচিয়াং নামে শিক্ষক বলেন, “এতদিন জলের নিচেই ছিল বৌদ্ধ মন্দিরটি। অন্যসময়ে চূড়ার কিছুটা অংশ দেখা গেলেও বর্ষাকালে কোনও কিছুই চোখে পড়ত না। এখন জল কমে যাওয়ার ফলে পুরো মন্দিরটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, একসময় খুব ধুমধাম করে পুজো হত এই মন্দিরে। কিন্তু, পরে জলের তলায় চলে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.