সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনে গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় গৃহবধূর দেহ ঘিরে রহস্য বাড়ছে। ২৪ বছরের তরুণীকে খুন (Dowry Death) করেছেন তাঁর স্বামীই, এমন অভিযোগ করছেন মৃতার দিদি। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত পঙ্কজ লাম্বা এখনও পলাতক। তাঁর গাড়ির ভিতর থেকেই উদ্ধার হয়েছিল স্ত্রী হর্ষিতা বেল্লার দেহ। এবার তাঁর দিদি সোনিয়া বেল্লার অভিযোগ ঘিরে তুঙ্গে চাঞ্চল্য।
জানা যাচ্ছে, এবছরেরই ২২ মার্চ সাত পাকে বাঁধা পড়েন দিল্লির বাসিন্দা হর্ষিতা ও পঙ্কজ। পরে স্বামীর সঙ্গে তিনি ব্রিটেনে চলে যান। কয়েক মাস যেতে না যেতেই গত ১৪ নভেম্বর স্বামী পঙ্কজের গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুললেন হর্ষিতার দিদি সোনিয়া। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ”আমাদের পরিবার পঙ্কজকে বিরাট পণ দিয়েছিল। কিন্তু ও তাতেও খুশি ছিল না। ব্রিটেন থেকেই পণ চেয়ে চাপ দিচ্ছিল।”
নটিংহ্যামশায়ার পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত থেকে উঠে আসছে হর্ষিতা খুন হন গত ১০ নভেম্বর। ওইদিন রাতে স্বামীর সঙ্গে তাঁকে কর্বি অঞ্চলের পাশের লেকের ধারে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। সেখান থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে পূর্ব লন্ডনে গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহ। পুলিশ জানতে পেরেছে ওই গাড়িটি তাঁর স্বামীর। এদিকে পঙ্কজকে ঘটনার পর থেকে পাওয়া যায়নি। ফলে স্ত্রীকে খুন করে তিনি অন্তর্হিত হয়েছেন, এই সন্দেহ ক্রমেই দানা বাঁধছে।
মৃতার দিদির মতো একই অভিযোগ আগেই করেছিলেন তাঁর বাবা সাবির ব্রেল্লাও। তিনি দাবি করেছেন, পণের টাকা চেয়ে প্রায়ই তাঁর মেয়েকে মারধর করতেন জামাই পঙ্কজ। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় হর্ষিতা আলাদা থাকতে শুরু করেন। অন্য জায়গায় চাকরিও নেন। কিন্তু এর পরও তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করতেন স্বামী পঙ্কজই। সাবিরের কথায়, ”তবুও আমার মেয়ে ওকে টাকা দিত। ভেবেছিল একদিন সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বুঝতে পারেনি কোন পরিণতি অপেক্ষা করে রয়েছে ওর জন্য।” গত ২৯ আগস্ট পঙ্কজের পরিবার হর্ষিতার বাড়ি গিয়ে পণের জন্য চাপ দেয় বলেও অভিযোগ করেছেন কন্যাহারা সাবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.