সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দল আসছে পাকিস্তানে। তারা লাহোরে সরেজমিনে হাফিজ সইদ ও তার সংগঠনের কাজকর্ম খতিয়ে দেখবে। কিন্তু এজন্য আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে হাফিজকে গ্রেপ্তার বা গৃহবন্দি করতে পারবে না পাক সরকার। শুক্রবার এই স্পষ্ট নির্দেশ দিল লাহোর হাই কোর্ট।
[চারদিনে ৯ হাজার বোমাবর্ষণ বিএসএফের, ধুলোয় মিশল বহু পাক ঘাঁটি]
রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দলের সফরের আগেই আইনি রক্ষাকবচ পেল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা হাফিজ। ফলে স্বস্তি পেল হাফিজ ও তার সঙ্গীরা। পাক সরকার কিছুতেই চাইছে না জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান এবং লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে সেই প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ হোক। একইসঙ্গে হাফিজ সইদের কোনও কাজকর্ম যদি সেই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নজরে পড়ে তাহলেও বিপদ। সম্প্রতি ভারতের চাপে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে ভৎর্সনা করেছে আমেরিকা। এই অবস্থায় ভারত-মার্কিন যৌথ চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে পারে ইসলামাবাদ। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকদিন থেকেই রাষ্ট্রসংঘে হাফিজ সইদকে জঙ্গি তকমা দেওয়ার জন্য সওয়াল করছে ভারত ও আমেরিকা। মুম্বই হামলার মূলচক্রীকে বাগে আনতে ইসলামাবাদের এমনই পরিস্থিতিতে পাক আদালতের রায়ে বেকায়দায় দিল্লি। উল্লেখ্য, ভারতের বিরুদ্ধে হাফিজের কাঁধে বন্দুক রেখেই ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পাকিস্তান। ফলে তাকে বাঁচানোর সমস্ত চেষ্টাই যে করবে সে দেশ তা সর্বজনবিদিত। গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে পাকিস্তানে চলে ‘সন্ত্রাসতন্ত্র’। কয়েকদিন আগেই সইদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহিদ আব্বাসি। তাঁর দাবি, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে হাফিজের বিরুদ্ধে নাকি কোনও অভিযোগই দায়ের হয়নি। তাই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়।
[ভারতের কলকাঠিতে পাকিস্তানকে হুমকি আমেরিকার, তোপ হাফিজের]
সম্প্রতি, ইসলামবাদকে বিস্তর দাবড়ানি দিয়েছে ওয়াশিংটন। সামরিক খাতে আর্থিক মদতও বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তারপরই বেকায়দায় পড়ে ফের খোলস ছাড়ছে পাকিস্তান। হাফিজ সইদের সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া-র ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় পাক সরকার। তারপরই সাপের ছুঁচো গেলার মতো অবস্থা হয় ইসলামাবাদের। গণতান্ত্রিক সরকারের উপর প্রবল চাপ তৈরি করে সইদ ও আইএসআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.