সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার মাটিতে জন্মালেই এবার থেকে আর মার্কিন নাগরিকত্ব নাও মিলতে পারে। স্পষ্ট ভাষায় মঙ্গলবার একথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে রিপাবলিকানদের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “বিশ্বের মধ্যে আমেরিকাই একমাত্র দেশ, যেখানে মানুষ বাইরে থেকে আসেন, তাঁর সন্তান হয়, আর সেই শিশু আমেরিকার সমস্ত সুবিধা নিয়ে নাগরিকত্ব পায়, যা এককথায় যুক্তিহীন, এই নিয়ম বন্ধ করতেই হবে।”
[৮০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে মৃত্যু ভ্রমণপ্রেমী ভারতীয় দম্পতির]
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব, এই আইন সংশোধন করেই নতুন বিল পেশ করার কথা ভাবছে মার্কিন প্রশাসন। আমেরিকার সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাতেই জন্মসূত্রে নাগিরকত্বের কথা বলা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি জন্মসূত্রে আমেরিকার তিনি এদেশেরই নাগরিক। এই ধারারই সংশোধনের চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। এই সংশোধনের জন্য সেনেট ও হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় বাধা ডেমোক্র্যাট সেনেটর ও কংগ্রেসম্যানরা। অ-মার্কিন নাগরিকদের এবং আমেরিকায় বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার লোভ এবং প্রবণতা রুখতে এই কড়া নাগরিক আইন কার্যকর করার কথা জানালেন ট্রাম্প। মার্কিন নাগরিক নন এমন দম্পতির আমেরিকায় সন্তান জন্ম নিলে সে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর আইন মেনে নাগরিকত্বের আবেদন জানাতে পারবে। সেই আবেদন বিবেচনা করে সরকার নাগরিকত্ব মঞ্জুর করতেও পারে বা আবার নাও পারে।
এখনকার নিয়ম অনুসারে, আমেরিকায় অবৈধভাবে বসবাস করা দম্পতি বা কোনও মহিলা, আমেরিকার নাগরিকত্ব নেই এমন কোনও দম্পতি বা কোনও অন্তঃসত্ত্বা যদি মার্কিন ভূখণ্ডে তাঁদের সন্তানের জন্ম দেন তাহলে সেই সন্তান অধিকারবলে সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়ে যায়। শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি বজায় রাখতে ট্রাম্প এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। কারণ ভোটের আগে রিপাবলিকানদের দাবি ছিল, নাগরিকত্ব বিধি আমূল সংস্কার করতে হবে। এদিন ট্রাম্পের ঘোষণা, “অনেক হয়েছে, এবার নাগরিকত্বের নিয়মে বদল আনা হবে।”
[হিট লিস্টে ট্রাম্প বিরোধী শিবিরের রথী-মহারথীরা, এফবিআই তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.