সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বীপের বাসিন্দা বলতে কেবল পেঙ্গুইন আর পাখি। কিন্তু সেই দ্বীপের উপরেও কর বসাতে ছাড়েনি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। নেটদুনিয়ায় এই নিয়ে কটাক্ষের মুখেও পড়েছে আমেরিকা। তবে এবার হাসির রোল উঠল এই ইস্যুতে মার্কিন প্রশাসনের সাফাই ঘিরে। ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথায়, বিশ্বের সব দেশের উপরেই শুল্ক চাপানো হয়েছে। মার্কিন বাণিজ্যনীতিতে যেন সামান্যতম ফাঁকটুকু না থাকে, তাই পেঙ্গুইনদের উপরেও কর বসিয়ে ছেড়েছে আমেরিকা।
অ্যান্টার্কটিকার কাছে নির্জন, আগ্নেয় দ্বীপও ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের কোপে পড়েছে। সেই দ্বীপগুলিতে রয়েছে কেবলই হিমবাহ, পেঙ্গুইন ও পাখিরা। অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে ১০ শতাংশ শুল্কের পাল্লায় পড়েছে এই দ্বীপগুলিও। পৃথিবীর অন্যতম প্রত্যন্ত অঞ্চলের মধ্যে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার দূরবর্তী ভূখণ্ড হার্ড দ্বীপ ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপ। কেবলই পেঙ্গুইন ছাড়া আর কেউ থাকে না সেখানে। এই সব দ্বীপে শেষবার মানুষের পা পড়েছিল প্রায় এক দশক আগে।
পেঙ্গুইনদের উপর শুল্ক চাপানো নিয়ে হাসির রোল উঠেছিল নেটদুনিয়ায়। হাজারো মজার মিমে ছেয়ে গিয়েছিল সোশাল মিডিয়া। কিন্তু হার্ড দ্বীপ ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপে শুল্ক চাপানোর বিষয়টিকে মোটেও হাস্যকর বলে মনে করছে না আমেরিকা। বরং সেদেশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মতে, “বাণিজ্যনীতিকে আরো আঁটসাট করা দরকার। কারণ ২০১৮ সালে চিনের উপর কর বসিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু সেই শুল্ক এড়াতে অন্য দেশের মাধ্যমে বাণিজ্য চালাত বেজিং।
বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম, ১০ শতাংশ শুল্কের আওতা থেকে কোনও দেশই যেন বাদ না পড়ে। আসলে কোনও এলাকা যদি শুল্কের তালিকা থেকে বাদ পড়ে তাহলে অন্য দেশগুলি ওই এলাকার মাধ্যমে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য করতে চেষ্টা করে। এই বিষয়টি আটকাতে মরিয়া ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাই তিনি বলেছিলেন, শুল্কের ‘থাবা’ থেকে যেন কোনও দেশ বা এলাকাই বাদ না পড়ে।” তবে মার্কিন প্রশাসনের এহেন সাফাই ঘিরে ফের হাসির রোল উঠেছে ওয়াকিবহাল মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.