সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল মামলায় সাজা ঘোষণা নিয়ে। কিন্তু মসনদে বসার দিন দশেক আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘নিঃশর্ত রেহাই’ দিল মার্কিন আদালত। অর্থাৎ জেল কিংবা জরিমানা কিছুই হচ্ছে না তাঁর।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। গত বছরের মে মাসে প্রথম প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিউ ইয়র্কের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। তবে ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনও বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি তাঁকে। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত। এরপর রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করেন ট্রাম্প। নির্বাচন জেতার পরই এই মামলার শাস্তি থেকে অব্যহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে আদালতের তরফে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট পদে বসলেও রক্ষাকবচের কোনও প্রশ্নই নেই। ফলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল, তাহলে কি নতুন করে মসনদে ফেরার আগেই বড়সড় অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা? ট্রাম্পের আইনজীবীরা ২০ জানুয়ারি অর্থাৎ ট্রাম্পের শপথগ্রহণ পর্যন্ত সাজা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেও তা খারিজ করে আদালত।
কিন্তু শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে ভার্চুয়ালি এদিন হাজিরা দেন ট্রাম্প। জানান, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। এরপরই বিচারক জুয়ান মার্চান বলেন, ”এই আদালত নির্ধারণ করেছে যে দেশের সর্বোচ্চ পদের উপর হস্তক্ষেপ না করেই রায় বা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার একমাত্র আইনসঙ্গত শাস্তি হল নিঃশর্ত অব্যাহতি।”
তবে জেলযাত্রা যে হবে না ট্রাম্পের, তা প্রায় নিশ্চিতই ছিল। কেননা মার্কিন আইন অনুযায়ী ট্রাম্পের কারাদণ্ড সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। মনে করা হচ্ছিল, সেক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা করা হতে পারে ট্রাম্পকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত ‘নিঃশর্ত রেহাই’ পেলেন হবু প্রেসিডেন্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.