সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৫-য় ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি মাসের ১২ তারিখের পরেই ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে বেরিয়ে আসা হবে খবর হোয়াইট হাউস সূত্রে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা-সহ আন্তর্জাতিক মহল।
[দলে এলেই মিলবে একাধিক যৌনদাসী! আফগানিস্তানে মৃত্যুফাঁদ আইএস-এর]
বারাব ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ে ইরানের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল আমেরিকা-সহ ব্রিটেন, চিন, ফ্রান্স ও রাশিয়া। ২০১৫-তে হওয়া এই চুক্তির শর্তানুযায়ী, তাদের যেকোনও রকমের পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ রাখবে ইরান। প্রয়োজনে তাদের যে কোনও পারমাণবিক উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে নজরদারf চালাতে পারবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশন বা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন (আইএইসি)। পরিবর্তে ইরানকে মোটা অঙ্কের ত্রাণ পাঠাবে আমেরিকা। কিছুদিন আগেই বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, একাধিক গলদ রয়েছে এই চুক্তিতে। এছাড়া চুক্তির শর্তা মেনে যে মোটা অঙ্কের টাকা আমেরিকা ইরানকে পাঠাত তাও আর দেওয়া সম্ভবপর নয় বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এই বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী ১২ মে চুক্তির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই বৈঠকের পরেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে আমেরিকা তাই মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।
[ভারতে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ]
ইরানের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি আমেরিকার বেরিয়ে আসাকে চরমতম ভুল হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি জানিয়েছেন যে, ইরানের ২০১৫-তে করা এই চুক্তি ভালভাবেই কাজ করছিল। শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কূটনীতিক, বিজ্ঞানী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পরে স্বাক্ষরিত হয়েছিল এই চুক্তি। এই চুক্তির অন্যতম কারিগর তথা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা আরও জানিয়েছেন, দেশের প্রশাসনে পরিবর্তন হলে তার নীতিতে পরিবর্তন আসে। কিন্তু আন্তর্জাতিক চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসা দেশের গ্রহণযোগ্যতায় প্রভাব ফেলে। পারমাণবিক কার্যকলাপ বন্ধ করবে পিয়ংইয়ং। এই শর্তেই উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমত পরিস্থিতিতে ট্রাম্প-কিমের মধ্যে হতে চলা সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.