সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তবে সামরিক যুদ্ধ নয়, বেজিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের যুদ্ধ জড়ালেন মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে৷ রবিবার চিনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক মহড়া ও বেআইনিভাবে আর্থিক কর্তৃত্ব বজায় রাখার অভিযোগে একের পর টুইট-বোমা দেগেছেন ট্রাম্প৷
এমনিতেই তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ট্রাম্পের কাছে ফোন আসার কথা জানতে পেরে বেজায় চটে রয়েছে চিন৷ তার উপর ট্রাম্প নিজেই প্রশ্ন তুলেছেন, যে দেশকে আমেরিকা কোটি কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে আপত্তি কোথায়? বস্তুত, কয়েক দশকের শৈত্য গলিয়ে ট্রাম্প টেলিফোনে সরাসরি কথা বলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে৷ ১৯৭৯-এ দুই দেশের মধ্যে সমস্ত কূটনৈতিক ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর সম্ভবত এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওই স্বশাসিত দ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বললেন৷ চিনা পণ্য বিক্রির বিশাল বাজার রয়েছে আমেরিকায়৷ কিন্তু চিনা সংস্থার দাপাদাপিতে পেরে উঠছে না মার্কিন সংস্থাগুলি৷ প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভোটে জিতে প্রেসিডেন্ট হলে চিনা সংস্থাগুলির দাদাগিরি রুখে দেবেন৷ সেটা বাস্তবে করা যে মুখের কথা নয় তা বিলক্ষণ জানেন ট্রাম্প, কিন্তু যে চলন্ত বাঘের পিঠে তিনি একবার উঠে পড়েছেন, সেখান থেকে নামা বেশ কঠিন বুঝতে পেরেই টুইটারে চিনকে আক্রমণ করেন তিনি৷
চিন অবশ্য ট্রাম্পের এই আক্রমণের বিরুদ্ধে চুপ করে থাকায় শ্রেয় বলে ঠিক করেছে৷ চিনা মিডিয়াগুলি ট্রাম্পকে ‘অনভিজ্ঞ’ বলে সংঘাত এড়িয়ে গিয়েছে৷ তবে তাইওয়ানের সঙ্গে ভবিষ্যতে ফের বাণিজ্যের পথে হাঁটলে বেজিংও যে ছেড়ে কথা বলবে না সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী৷ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স অবশ্য তাইওয়ান ও হোয়াইট হাউসের মধ্যে কথোপকথনকে নেহাত ‘সৌজন্যমূলক বার্তালাপ’ বলে যাবতীয় বিতর্ক ধামাচাপা দিতে চেয়েছেন৷ কিন্তু তাতে চিন-আমেরিকা দ্বন্দ্বের পরিবেশ যে কিছুতেই এড়ানো যাচ্ছে না, সে কথা স্বীকার করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.