সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণত অন্যদেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ব্রিটেন সফরে গেল অবশ্যই রানী এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ ব্রিটেনের রানি বলে কথা৷ নির্দিষ্ট রাজকীয় নিয়ম বা প্রটোকল মেনে তবেই যেকোনও রাষ্ট্রপ্রধান রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ কিন্তু সেই রাষ্ট্রপ্রধান যদি হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তবে কোনও নিময় বা প্রটোকলই যে গ্রাহ্য হবে না তা সর্বজনবিদিত৷ সমস্ত নিয়ম ভেঙে, বিতর্কের মধ্যে থাকাই যাঁর একমাত্র লক্ষ্য, এবারেও তার অন্যথা হতে দিলেন না ট্রাম্প৷
After the Inspection of the Guard The President and First Lady joined Her Majesty for tea at the Castle. @POTUS @FLOTUS pic.twitter.com/LVeom2qhag
— The Royal Family (@RoyalFamily) July 13, 2018
চারদিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া৷ শুক্রবার উইন্ডসোর ক্যাসেলে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তাঁরা৷ তবে সাক্ষাৎপর্বের শুরু থেকেই নিময় বিরুদ্ধ কাজ করতে শুরু করেন একরোখা মেজাজের ট্রাম্প৷ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রবল গরমের মধ্যে ৯২ বছরের রানি এলিজাবেথকে ঠাঁয় দাঁড় করিয়ে রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ জানা গিয়েছে, ট্রাম্প দম্পতিকে স্বাগত জানানোর জন্য একটি ছাতার তলায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্রিটেনের রানি৷ প্রায় দশ মিনিট দেড়িতে কালো রেঞ্জ রোভার গাড়ি চড়ে সেখানে গিয়ে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া৷ এখানেই শেষ নয়, উইন্ডসোর ক্যাসেলের বিশেষ সেনা বাহিনীর সঙ্গে পরিচয় পর্বেও নিজের বিতর্কিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট বজায় রাখেন ট্রাম্প৷ একসঙ্গে হাঁটার বদলে বেশিরভাগ সময়টাই তাঁকে দেখা গিয়েছে রানি এলিজাবেথ ও মেলানিয়ার থেকে দু’কদম করে এগিয়ে থাকতে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে প্রবল বিতর্ক৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কার্যত তুলোধনা করেছে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম৷
“Trump sitting in Churchill’s seat will stick in the throats of many Brits who would consider [him]…not worthy of a comparison with our wartime leader who rescued our nation in its darkest hour” my comments for @DailyMirror on @realDonaldTrump arrogance https://t.co/q29A3igJTc pic.twitter.com/5IxvKAheG4
— Stephen Doughty (@SDoughtyMP) July 13, 2018
কেবল রানির সঙ্গে সাক্ষাৎপর্বে বিতর্ক সৃষ্টি করেই থেমে থাকেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপর তিনি করেন আরও ভয়ঙ্কর কাজ। প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের বিখ্যাত আরামকেদারায় বসে ছবি তোলেন তিনি৷ যা নিয়ে, ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন ব্রিটেনের বহু রাজনীতিবিদ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফর ঘিরে প্রথম থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ব্রিটেন৷ একাধিক স্থানে চলছে বিক্ষোভ, আন্দোলন৷ যা প্রতিহত করতে হচ্ছে প্রশাসনকে৷ এই বিক্ষোভ আরও তীব্রতর হয়েছে প্রাক্তন যুবরানি ডায়না ও বর্তমান যুবরানি কেট সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্টে করা কিছু কুরুচিকর মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.