সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা হল বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে। কিন্তু সেই নিয়ে যাবতীয় দায়িত্ব মোদিকেই দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যে সংকট চলছে সেখানে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হয়েই বাংলাদেশের সমস্ত অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প।
ছাত্র আন্দোলনকে হাতিয়ার করে বাংলাদেশ থেকে হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মহম্মদ ইউনুস। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর কোলাকুলির ছবি ভাইরাল হয়েছিল গোটা বিশ্বে। অনুমান করা হচ্ছিল, বাইডেনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ। তবে সে গুড়ে বালি। ইউনুস শাসনে বাংলাদেশে মৌলবাদের দাপট ও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় শুরু থেকেই সরব ছিলেন ট্রাম্প। তাঁর নির্বাচন জয়ের পরই আশায় জল পড়ে ইউনুস সরকারের। যদিও ইউনুসের আশা ছিল হয়ত বিদেশনীতিতে বিশেষ বদল আনবেন না ট্রাম্প। তবে সরকারে এসেই সমস্ত সম্ভাবনার অঙ্কে দাঁড়ি টেনে বিদেশনীতি বদলে ফেলেন তিনি।
ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা USAID বাংলাদেশে তাদের সব প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে নির্দেশিকা জারি করে। বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য তো বটেই, সেদেশের মাটিতে আমেরিকার তরফে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপের কয়েকদিনের মধ্যেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন মোদি-ট্রাম্প। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দেন, “হাসিনার পতনের নেপথ্যে আমেরিকার কোনও ভূমিকা ছিলই না। তবে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি দীর্ঘদিন কাজ করছেন, তাই এই বিষয়টি ওঁর উপরেই ছেড়ে দিলাম।” পরে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তার কারণ রয়েছে। সেগুলি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে জানিয়েছেন মোদি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.