সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নতুন বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ শুধু ডেমোক্র্যাট নয়, এই ঘটনায় নিজের দলের তরফেও তাঁকে সমালোচনা হজম করতে হয়েছে৷ ট্রাম্প তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে একহাত নিয়ে বলেছেন, “রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই৷ ঘনিষ্ঠতা নেই৷ তিনি আমার বন্ধুও নন৷ তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ-পরিচয়ও নেই৷ তাঁর কিছু নীতি আমার ভাল লাগে বলে আমি তাঁর প্রশংসা করেছি৷ বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে পুতিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চাই৷ কিন্তু, তাঁর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব নিয়ে যা রটানো হচ্ছে, তার কোনওটাই সত্যি নয়৷”
যদিও ট্রাম্পের এই বয়ানের পরও তাঁর মন্তব্যে বর্ণবিদ্বেষী ঝাঁঝ একটুও কমেনি৷ পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন সৈনিকের বাবা ট্রাম্পকে সমালোচনা করেছিলেন যে, দেশের জন্য তিনি কোনও আত্মত্যাগই করেননি৷ তারই পাল্টা দিতে গিয়ে ওই সৈনিকের বাবা-মাকে তীব্র আক্রমণ করেন রিপাবলিকান প্রার্থী৷ সেটা করতে গিয়ে ট্রাম্প শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ৷ গত সপ্তাহে ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় কনভেনশনে প্রয়াত ক্যাপ্টেন হুমায়ুন খানের বাবা কাইজার খান ট্রাম্পকে নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছিলেন৷ তার জবাব দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, “কয়েক হাজার কর্মসংস্থান করেছি৷ দেশের জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছি৷” তার পরেই তাঁর বেখাপ্পা মন্তব্য, “ওই ভাষণটি কে লিখে দিয়েছে? হিলারির স্ক্রিপ্ট রাইটাররা?” কাইজারের স্ত্রীকেও কেন বলতে ডাকা হয়নি, প্রশ্ন করেন তিনি৷ ডেমোক্র্যাট শিবির তো বটেই, রিপাবলিকানদের অনেকে এই মন্তব্য মুসলিমবিরোধী ও বর্ণবিদ্বেষী বলে মনে করছেন৷ ২০০৪ সালে ইরাকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে প্রাণ হারান হুমায়ুন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.