সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পদপ্রার্থী হয়েছেন কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তার পরেই অনন্য সৌজন্যের নিদর্শন রাখলেন কমলা হ্যারিস। প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেট শুরুর আগে প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করলেন তিনি। গত আট বছরে এই প্রথমবার এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল মার্কিন রাজনৈতিক মহল। বিতর্ক চলাকালীন অবশ্য ট্রাম্পকে লাগাতার আক্রমণ শানিয়েছেন কমলা। তার জেরে বেশ কয়েকবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।
রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ থেকে শুরু করে মার্কিন অর্থনীতি, বিতর্কিত গর্ভপাত আইন, কমলার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য- একাধিক বিষয় উঠে আসে এদিনের প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেটে। উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকেই প্রথমবার সরাসরি সাক্ষাৎ হল ট্রাম্প-কমলার। নিজেই এগিয়ে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার পরেই ট্রাম্পকে বিঁধে কমলা বলেন, উনি ক্ষমতায় এলে কোটিপতি এবং বড় ব্যবসায়ীদের করছাড় করবেন। কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জিতলে ছোট ব্যবসায়ী এবং পরিবারগুলোর পাশে থাকবেন। নিজের মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে কমলা বলেন, “আমজনতার জন্য ট্রাম্পের কোনও পরিকল্পনা নেই।” কমলা সাফ জানান, ট্রাম্পের ‘কীর্তি’ শুধরে নিতেই চার বছর সময় লেগে গিয়েছে ডেমোক্র্যাট সরকারের।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে দেশজুড়ে মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে বলে দাবি করেন কমলা। সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পের দাবি, কমলা মিথ্যে বলছেন। তখন প্রশ্ন উড়ে আসে, তাহলে কি ভেটো দিয়ে হলেও গর্ভপাত বিরোধী আইন পাশ হওয়া আটকে দেবেন ট্রাম্প? স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উলটে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান। রিপাবলিকান প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সেই বিষয়গুলো উল্লেখ করেও তাঁকে বিঁধেছেন কমলা। বিতর্কের মধ্যে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে বিশ্বজুড়ে দুটো যুদ্ধ শুরুই হত না। বাইডেন প্রশাসনের গাফিলতিতে এমনটা হয়েছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তবে কমলা তাঁকে মনে করিয়ে দেন, এখন ট্রাম্পের লড়াই বাইডেনের বিরুদ্ধে নয়, হ্যারিসের বিরুদ্ধে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.