ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনব পদ্ধতিতে শিশুর শরীরে হার্ট প্রতিস্থাপন (Heart Transplant) করে নজির গড়লেন আমেরিকার ডিউক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। মাত্র ছ’মাসের এক শিশুর শরীরে অন্যের হার্ট এমনভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যে তা একদম নিজের হার্টের মতোই স্বাভাবিক ছন্দে কাজ করে চলেছে। ‘ফরেন বডি’ ভেবে নিয়ে ‘নতুন’ হার্টটিকে প্রত্যাখ্যান করেনি। আর এই সফল অস্ত্রোপচারের জন্যই ইস্টন সিনামোন নামের শিশুটি তার প্রথম জন্মদিন হেসে খেলে কাটাতে পারল।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও গবেষকরা জানিয়েছেন, শুধুই অন্যের শরীর থেকে হার্টটি এনে শিশুটির দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়নি। সার্জারির দু’সপ্তাহ পর দাতার শরীর থেকে সংগ্রহ করা থাইমাস কোষ, কলাগুলিকেও সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয় ইস্টনের শরীরে। এই কলাগুলি শিশুটির শরীরে এমন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে যা অন্যের দেহ থেকে নেওয়া হার্টকে শিশুর নিজস্ব বলেই বোঝাতে পারে।
এমনিতে হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের পর সেটি ১০ থেকে ১৫ বছর কাজ করে। তারপর অচল হয়ে পড়ে। গ্রহীতা যতদিন বেঁচে থাকেন ততদিন তাঁকে জীবনদায়ী ওষুধও খেয়ে যেতে হয়। এতে তাঁদের কিডনি দুর্বল হয়ে পড়ে। এই কলা প্রতিস্থাপন সেই সমস্যাকেও দূর করবে।
ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুদের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান জোসেফ টুরেক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, “ইস্টনের জন্মের পর থেকেই তার হৃদপিণ্ডের নানা ধরনের জটিলতা দেখা যায়। প্রথমে ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। তখন তার বয়স মাত্র পাঁচ দিন। তার পরেও হার্টের কাজ স্বাভাবিক হয়নি। তখন হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের কথা ভাবা হয়। কিন্তু এও দেখা যায় শিশুটির দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলার মতো থাইমাস কলারও যথেষ্ট অভাব রয়েছে শিশুটির দেহে। ফলে বোঝা যায় হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করলেও শিশুটির শরীর তাকে মেনে নেবে না।” এর পরেই নয়া পদ্ধতিতে ইস্টনের হার্ট প্রতিস্থাপন করেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.