সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন ফৌজে চরমে কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ! সেনায় বৈষম্য ও অমানবিক আচরণ সহ্য করতে না পেরেই নাকি পালিয়ে এসেছেন ইউএস আর্মির সদস্য ট্র্যাভিস কিং। এমনটাই দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া।
গত জুলাই মাসে সাউথ কোরিয়া সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়েন মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্য ট্র্যাভিস কিং। কমিউনিস্ট দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সূত্রে খবর, আপাতত বছর তেইশের ওই মার্কিন সেনাকে হেফাজতে নিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সেনা। জেরায় কিং নাকি জানিয়েছেন, মার্কিন ফৌজে চরমে পৌঁছেছে কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ। সেনায় বৈষম্য ও অমানবিক আচরণ সহ্য করতে না পেরেই তিনি পালিয়ে এসেছেন। কেসিএনএ-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘উত্তর কোরিয়ায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় চেয়েছেন ট্র্যাভিস কিং। বৈষম্যে পূর্ণ মার্কিন সমাজে তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে।’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ট্র্যাভিস কিং হেফাজতে রয়েছে বলে এই প্রথম সরাসরি স্বীকার করল উত্তর কোরিয়া। তবে গত মাস থেকেই এনিয়ে তুমুল চাপানউতোর চলছে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে। কিংকে মুক্ত করানোর চেষ্টা করলেও পথ যে সহজ নয় তা বুঝতে পেরেছে বাইডেন প্রশাসন। পেন্টাগনের এক মুখপাত্রের কথায়, “আমরা তাঁকে (ট্র্যাভিস কিং) নিরাপদে ফেরানোর চেষ্টা করছি। এখন এটাই আমাদের লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য, সীমান্ত পেরনোর আগে ফৌজের নির্দেশ মোতাবেক দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন ছিলেন ট্র্যাভিস কিং। তবে সে দেশে মারামারির একটি ঘটনায় তাঁকে দু’মাস জেলে থাকতে হয়েছে। আমেরিকায় ফিরে কিংকে অনুশাসন ভঙ্গের মামলার মুখোমুখি হতে হত। কিন্তু তাঁর আগেই সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়া চলে যান কৃষ্ণাঙ্গ ওই সেনা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মিনিয়াপোলিসের পুলিশ আধিকারিক ডেরেক শভিনের হাঁটুর চাপে প্রাণ হারান কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড। এর পরই গোটা বিশ্বে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন শুরু হয়। সেই চাপে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের ২০ বছরের জেল হয়। বিশ্লেষকদের মতে, পরোক্ষে সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে মার্কিন সেনার অন্দরে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে কিমের দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.