সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ জীবাণু থেকে দেশবাসীকে বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছিলেন। সেই লড়াই কাড়ল প্রাণ। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বলি হলেন ইউহানের এক হাসপাতালের ডিরেক্টর। মারাত্মক শক্তিশালী Covid-19এর সঙ্গে যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত জীবনে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। করোনাই কেড়ে নিল ডিরেক্টর লিউ ঝিমিংয়ের প্রাণ।
ইউহানের ইউচাং হাসপাতালের ডিরেক্টর লিউ ঝিমিং। লাগাতার করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে দিতে কখন যে তাঁর নিজের শরীরেও থাবা বসিয়েছিল জীবাণু, তা তিনি নিজেও টের পাননি। যখন সবটা বুঝতে পারলেন, তখন আর প্রায় কিছু করার ছিল না। তড়িঘড়ি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে কোয়ারেন্টাইনে থাকা শুরু করেন। ওষুধপত্রও খাওয়া শুরু করেছিলেন। হাসপাতালের ডিরেক্টরকে সুস্থ করে তুলতে কম চেষ্টা হয়নি। কিন্তু সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস পড়ল লিউ ঝিমিংয়ের। আজ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলি।
লিউ ঝিমিংই ইউহানের প্রথম হাসপাতাল অধিকর্তা, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে যাঁর মৃত্যু হল। এর আগে করোনা নিয়ে প্রথম দেশবাসীকে সতর্ক করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং। করোনা মোকাবিলায় কাজ করতে গিয়ে চিনে ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে লিউয়ের মৃত্যুতে একেবারে ধাক্কা খেয়ে গিয়েছে ইউচাং হাসপাতাল। মনে করা হচ্ছে, করোনার চিকিৎসায় বেশ তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছিলেন এই ডিরেক্টর। অন্যদের দিশা দেখানো সেই ব্যক্তির প্রয়াণে পরিষেবা কিছুটা ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা চিকিৎসা কর্মীদের।
তাঁর মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠছে আরও। তবে কি করোনা চিকিৎসায় যথাযথ সতর্কতার অভাব লিউকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিল? কারণ, ইউহানের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে প্রয়োজনের তুলনায় মাস্ক এবং রোগ প্রতিরোধী সার্জিক্যাল সুট কম পড়ছে। পাশাপাশি, বহু স্বাস্থ্যকর্মী এতদিন ধরে জরুরি পরিষেবা দিতে দিতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ফলে সামগ্রিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। লিউয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন অনেকে। এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে চলে গিয়েছেন ইউচাং হাসপাতালের সদ্যপ্রয়াত ডিরেক্টর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.