Advertisement
Advertisement

Breaking News

কিম

শেষ কূটনৈতিক সম্পর্ক! দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সেনা নামানোর হুঁশিয়ারি একনায়ক কিমের বোনের

উত্তর কোরিয়ার সেনাকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ কিম ইয়ো জং-এর।

Diplomatic relation ends! Kim Jong Un's Sister Says Army Ready for Action on South Korea
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:June 15, 2020 3:57 pm
  • Updated:June 15, 2020 4:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শেষ করেছেন একনায়ক কিম জং উন। তারপর থেকেই প্রকাশ্যে এসেছে নানা বিরোধী মন্তব্য। এবার আর ঢাক ঢাক গুর গুর না করে প্রকাশ্যেই দক্ষিণ কোরিয়াকে শেষ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কিমের বোন।

শেষ হয়েছে সব রাখঢাক। কূটনৈতিক সম্পর্কের আবরণ খুলে প্রকাশ্যে তাই এল উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কের ভাঙণ। ফলে একনায়ক কিমের বোন কিম ইয়ো জং (Kim Yo Jong) সর্বসম্মুখেই দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘শত্রু’ বলতে দ্বিধা করল না। শনিবার একটি সংবাদ সংস্থাকে কিম ইয়ো জং সাফ জানিয়ে দেন, “এখনই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করে দেওয়া হোক। তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিক সেনাবাহিনী। দক্ষিণ কোরিয়ার কার্যকলাপের নিন্দা করে ঘন ঘন বিবৃতি দিয়ে লাভ নেই। ওই সব বিবৃতির ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। কেউ তাতে গুরুত্বও দিচ্ছে না।” পরে আরও ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি বলেন, “জঞ্জালকে সবসময় ডাস্টবিনে ফেলাই ভাল। আমাকে দেশের সর্বোচ্চ নেতা, আমাদের দল এবং সরকার যে ক্ষমতা দিয়েছে, তার জোরে আমি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। এবার তারাই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:আগামী সপ্তাহেই ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী! জানান দিচ্ছে মায়া ক্যালেন্ডারের নয়া হিসেব]

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা সর্বপ্রথম ২০০০ সালের ১৩ জুন বৈঠকে বসেন। সেদিনের বৈঠকের মাধ্যমেই তাঁরা নিজেদের দীর্ঘদিনের শত্রুতাকে ভুলে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এই উদ্যোগের জন্য তৎকালীন দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কিম দাই জং (Kim Dae-jung) নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। তাঁর প্রচেষ্টাকে অনেকে প্রশংসা করেছিল ঠিকই, কিন্তু সমালোচনাও হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে।

[আরও পড়ুন:ইসলামাবাদ থেকে নিখোঁজ ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মী, উঠছে অপহরণের অভিযোগ]

কিছুদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজকর্মীরা পিয়ংইয়ং-এর কড়া সমালোচনা করে বার্তা পাঠান। বেলুনের মাধ্যমে সেই বার্তা পাঠানো হয়। এতেই অসন্তুষ্ট হয় উত্তর কোরিয়া। তাদের অভিযোগ, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারই এই ধরনের প্রচারে উৎসাহ দিচ্ছে। অনেকের মতে তারপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। পরে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement