সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ১৫ মিনিট। তার মধ্যেই সব শেষ। সব কিছুই জলের তলায়। জার্মানির এক সংবাদপত্রে এই দুর্ঘটনাকে ‘মৃত্যুর বন্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শুক্রবার এমনই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে জার্মানির বহু বাসিন্দাকেই। কেবল জার্মানি (Germany) নয়, ইউরোপ (Europe) জুড়েই বন্যার তাণ্ডব। অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই পশ্চিম জার্মানির। আর সেই আকস্মিক দুর্যোগের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেননি ভুক্তভোগীরা।
বহু জেলার সঙ্গে একেবারেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় রাস্তাঘাট, বাড়ি সব জলের তলায় এখনও। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে বন্যার জলের তোড়ে গাড়ি রাস্তায় উলটে পড়ে রয়েছে। ঠিক কেমন ছিল বন্যার তোড়? সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে হতাশা ঝরে পড়ল ২১ বর্ষীয় আগ্রন বেরিস্কার, ‘‘সবকিছু জলের তলায় চলে গেল ১৫ মিনিটে। আমাদের ফ্ল্যাট, অফিস, প্রতিবেশীদের বাড়ি সব কিছু জলের নিচে।’’
৬৫ বছরের হান্স ডায়াটার ভ্র্যাঙ্কেনের দাবি, গত ২০ বছর ধরে যে এলাকার তিনি বাসিন্দা, সেখানে এমন তাণ্ডব তিনি কোনওদিন দেখেননি। তাঁর চোখের সামনে ভাসছে সেই দৃশ্য, ‘‘গাড়িগুলো ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেল, গাছগুলো উপড়ে গেল। চোখের সামনে বাড়িগুলো জলের তলায় চলে গেল।’’
গত কয়েক দিন ধরেই পশ্চিম ও দক্ষিণ জার্মানিতে অতিভারী বৃষ্টি চলছে। সেই বৃষ্টির জেরে দেশটির পশ্চিম এবং দক্ষিণ ভাগের এলাকাগুলিতে হড়পা বানের সৃষ্টি হয়। প্রবল বৃষ্টির জেরে আচমকাই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। নদীর পাড় ছাপিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে বানের জল। প্রকৃতির এহেন তাণ্ডবে বহু বাড়িঘর ও গাড়ি ভেসে গিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছে পশ্চিম জার্মানির রাইনল্যান্ড-প্যালাটিনেটে। জার্মানি ছাড়াও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে প্রতিবেশী দেশ বেলজিয়ামেও (Belgium)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.