ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির। তার পর থেকেই চর্চা চলছে ‘অভিশপ্ত’ কপ্টার নিয়ে। দেশের প্রেসিডেন্টের ব্যবহৃত কপ্টারটি আদৌ নিরাপদ ছিল কি? উঠছে সেই প্রশ্নও।
জানা গিয়েছে, বেল ২১২ হেলিকপ্টারে চেপে আজারবাইজানের দিকে রওনা দিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট (Ebrahim Raisi)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ান এবং অন্য সরকারি আধিকারিকরা। পাহাড়ি এলাকায় সেই কপ্টার ভেঙে পড়ে সকলেরই মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে ওই কপ্টার নিয়ে।
১৯৬০ দশকে কানাডার সেনাবাহিনীর জন্য প্রথমবার তৈরি হয়েছিল বেল হেলিকপ্টার। তার পর ১৯৭১ থেকে আমেরিকা ও কানাডা দুই দেশই নিজেদের সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করে এই বেল হেলিকপ্টারটি। এই কপ্টারে রয়েছে দুটি টার্বোশ্যাফট ইঞ্জিন, যার ফলে কপ্টারের বহন ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। যাত্রী বহনের পাশাপাশি আকাশপথে অস্ত্র সরবরাহের জন্যও এই কপ্টার ব্যবহৃত হয়। ইরানের তরফে জানানো হয়, রবিবার যে কপ্টারটি ভেঙে পড়েছে সেটি সরকারি কাজেই ব্যবহার করা হত।
কেবল ইরান (Iran) নয়, আরও বেশ কয়েকটি দেশ এই কপ্টার ব্যবহার করে। জাপানের উপকূলরক্ষা বাহিনী থেকে আমেরিকার দমকল বিভাগের নাম রয়েছে সেই তালিকায়। ইরানের বায়ুসেনা ও নৌসেনার কাছে মোট ১০টি বেল কপ্টার রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে ইরানের হাতে কটি বেল কপ্টার রয়েছে, সেই সংখ্যা নিয়ে সংশয় আছে।
রাইসির মৃত্যুর আগেও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বেল ২১২ হেলিকপ্টার। গত সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর উপকূলে একটি কপ্টার ভেঙে পড়েছিল। ২০১৮ সালেও ইরানে একটি বেল হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে চার জনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার এত নজির থাকা সত্ত্বেও কেন দেশের প্রেসিডেন্ট সেই ঝুঁকিপূর্ণ হেলিকপ্টারে চলাফেরা করতেন, সেই প্রশ্ন উঠছে ইরানে। তাছাড়া এই কপ্টার বহু পুরনো। অনেকক্ষেত্রেই কপ্টার বিকল হলে সেটা সারানোর যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও দেশের প্রেসিডেন্টের চলাফেরার জন্য কেন এই কপ্টার বরাদ্দ ছিল? উত্তর অজানা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.